
Business News: ব্যালেন্স ট্রান্সফার করলে লোনের বোঝা কমতে পারে, কারণ এটি আপনাকে কম সুদের হারে ঋণ পেতে সাহায্য করে, যা মাসিক EMI কমায় বা মোট সুদের পরিমাণ হ্রাস করে, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নয় এবং এর সাথে প্রসেসিং ফি, আইনি খরচ, এবং ক্রেডিট স্কোরের উপর প্রভাবের মতো বিষয়গুলো জড়িত, তাই সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
** ব্যালেন্স ট্রান্সফার যেভাবে সাহায্য করে:
* কম সুদ: নতুন ঋণদাতা যদি পুরোনো ঋণের চেয়ে কম সুদের হার দেয়, তাহলে আপনার মাসিক কিস্তি (EMI) কমে যায় এবং মোট সুদও কম দিতে হয়।
* EMI হ্রাস: সুদের হার কমলে EMI কমে, যা মাসিক আর্থিক চাপ কমায় এবং অন্যান্য আর্থিক লক্ষ্যের জন্য টাকা বাঁচাতে সাহায্য করে।
* ঋণ একত্রীকরণ: একাধিক ঋণ থাকলে সেগুলোকে একটি ঋণের আওতায় আনা যায়, ফলে একটিই বিল পরিশোধ করতে হয় এবং ব্যবস্থাপনা সহজ হয়।
* বর্ধিত মেয়াদ ও টপ-আপ: কিছু ক্ষেত্রে নতুন ঋণদাতা ঋণের মেয়াদ বাড়াতে বা অতিরিক্ত টপ-আপ লোনের সুবিধা দিতে পারে।
** বিবেচনা করার মতো বিষয় (ঝুঁকি ও খরচ):
* ফি ও চার্জ: ব্যালেন্স ট্রান্সফারে প্রসেসিং ফি, আইনি খরচ, বা সম্পত্তির মূল্যায়নের মতো চার্জ লাগতে পারে।
* ক্রেডিট স্কোর: নতুন ঋণের জন্য আবেদন করলে ক্রেডিট রিপোর্টে 'হার্ড ইনকোয়ারি' হয়, যা সাময়িকভাবে ক্রেডিট স্কোর কমাতে পারে। বারবার ব্যালেন্স ট্রান্সফার করলে দীর্ঘমেয়াদে ক্রেডিট স্কোর খারাপ হতে পারে।
* ছোট ঋণ/শেষের দিকের ঋণ: যদি ঋণের পরিমাণ ছোট হয় বা মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে থাকে, তাহলে খরচ সঞ্চয়ের চেয়ে বেশি হয়ে যেতে পারে।
* কখন ব্যালেন্স ট্রান্সফার করা উচিত: যখন আপনি একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম সুদের হার পাচ্ছেন (যেমন, ৯% থেকে ৭.৫% বা তার নিচে)।
যখন আপনার বর্তমান ঋণের মেয়াদ দীর্ঘ এবং EMI বেশি, যা মাসিক বাজেটে চাপ সৃষ্টি করছে।
যখন আপনার ক্রেডিট স্কোর ভালো আছে, যা আপনাকে ভালো ডিল পেতে সাহায্য করবে।
সংক্ষেপে, ব্যালেন্স ট্রান্সফার একটি কার্যকর কৌশল হতে পারে, তবে এর খরচ ও সুবিধাগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, যাতে লোনের বোঝা কমানোর পরিবর্তে তা বৃদ্ধি না পায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।