যার মধ্যে থাকতে পারে নিজের বাবা-মা অথবা স্বামী-স্ত্রীর নাম, বয়স, চাকরিতে ঢোকা এবং ছাড়ার দিন
শনিবার শর্তসাপেক্ষে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছেন শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তিনি বলেন, পিএফ পরিষেবাকে ব্যাঙ্কের পর্যায়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। তাই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
210
নতুন নিয়মে ২০১৭ সালের ১ অক্টোবরের পর, ইউনিভার্সাল অ্যাকাউন্ট নম্বর বা UAN পেলে,
এই ভুল শোধরাতে নিয়োগকারী সংস্থা বা পিএফ কর্তৃপক্ষের (ইপিএফও) কোনও অনুমোদন লাগবে না।
310
এমনকি, জমা দিতে হবে না কোনও নথিও
তবে তার আগে ইউএএন পেলে কিছু নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে।
410
যার দরুণ, প্রায় ৭.৬ কোটি পিএফ সদস্যদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান হবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের
তাদের মতে, একজন কর্মী চাকরিতে যোগদানের পর, সংস্থা কর্মীর ইউএএন নম্বর নথিভুক্ত করে
কিন্তু অনেকক্ষেত্রে দেখা যায়, সেই সময়েই তথ্যে নানা ভুল হয়।
610
পরে অবশ্য সেগুলি সংশোধনের জন্য সদস্য এবং নিয়োগকারীকে যুগ্মভাবে পিএফের কাছে আবেদন করতে হয়
সেইসঙ্গে, জমা দিতে হয় নথিও। পিএফ কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দিলে তবেই সংশোধন কার্যকর করা হয়।
710
ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক এবং পিএফের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য অশোক ঘোষের অভিযোগ,
এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে বহু বছর ঘুরে যায়। নতুন ব্যবস্থায় দ্রুত কাজ হলে পিএফ দফতরে টাকা পাওয়ার জন্য জমে থাকা একাধিক আবেদনেরও ফয়সলা হবে।
810
তিনি আর কী কী জানিয়েছেন?
অশোক আরও বলেন, “নাম, ঠিকানা, বাবা/মার নাম ইত্যাদি তথ্য পিএফ এবং নিয়োগকারীর নথিতে আলাদা থাকায় কয়েক লক্ষ সদস্য অবসর বা চাকরি ছাড়ার পর পিএফের টাকা পাচ্ছেন না। আবার সংশোধন করে টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হওয়ার নজিরও রয়েছে আমাদের সামনে। নতুন ব্যবস্থা ওই সমস্যা কাটাতে সাহায্য করবে অনেকটা।”
910
শনিবার শ্রম মন্ত্রকই জানিয়েছে যে, তথ্য সংশোধনের জন্য প্রায় ৪ লক্ষ আবেদন জমা পড়ে রয়েছে
নতুন ব্যবস্থায় সেগুলির দ্রুত সমাধান তো হবেই, উপরন্তু যারা আগে সংশোধনের জন্য আবেদন করেছেন, তারাও আবেদন জানাতে পারবেন।
1010
তারা আবেদন খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেবে এবং পিএফ দফতরে পাঠানোর পরই অ্যাকাউন্ট অন্য সংস্থায় যায়
সেই ব্যবস্থাটিও আরও সহজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রমমন্ত্রী।