Pharmacy Store: ভারতবর্ষে ওষুধের দোকান খোলার নিয়ম জানেন? জেনে নিন যোগ্যতার মাপকাঠি

Published : Aug 17, 2025, 10:30 AM IST
pharmacy

সংক্ষিপ্ত

Pharmacy Store: মেট্রো শহরের ক্ষেত্রে আবাসন কিংবা কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে ছোট গ্রামের ডিসপেনসারি, সব জায়গাতেই ওষুধের চাহিদা কিন্তু প্রায় সমান।

Pharmacy Store: ভারতে ওষুধের দোকান বা ফার্মাসি স্টোর খোলা নিঃসন্দেহে একটি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত (pharmacy store license)। একদিকে জনসংখ্যার বৃদ্ধি, পরিবর্তিত জীবনযাত্রা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার কারণে, এখন প্রায় প্রতিটি এলাকাতেই একটি মেডিক্যাল স্টোরের প্রয়োজন হয়ে পড়ছে (medical shop licence)। 

মেট্রো শহরের ক্ষেত্রে আবাসন কিংবা কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে ছোট গ্রামের ডিসপেনসারি, সব জায়গাতেই ওষুধের চাহিদা কিন্তু প্রায় সমান। আর ঠিক সেই কারণেই, মেডিক্যাল স্টোরের ব্যবসা শুধু ভালো চলে এইরকমটা নয়, সামাজিক ক্ষেত্রে একটি সম্মানজনক পরিচয়ও তৈরি করে থাকে।

মেডিক্যাল স্টোর খুলতে গেলে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা কী কী?

ভারতে ওষুধের দোকান খোলার জন্য ডি.ফার্মা (Diploma in Pharmacy) অথবা বি.ফার্মা (Bachelor of Pharmacy) ডিগ্রি থাকতে হবে। এই ডিগ্রি অবশ্যই ফার্মাসি কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (PCI) অনুমোদিত কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ডিগ্রি হতে হবে। কারণ, এই ডিগ্রি ছাড়া ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়া যায় না।

যদি আপনার নিজের ডিগ্রি না থাকে, তাহলে একজন রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্টকে লাইসেন্স হোল্ডার হিসেবে দোকান খোলার সময় নিয়োগ করতে পারেন। তবে দোকানের কাজ চলাকালীন তাঁর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয়ম ঐ ফার্মাসিস্টের স্টেট ফার্মাসি কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন থাকাও জরুরি।

ওষুধের দোকান খোলার খরচ

মেডিক্যাল স্টোর খোলার বাজেট নির্ভর করে লোকেশন, দোকানের আকার এবং টার্গেট কাস্টোমারের ওপর। যেমন ছোট শহর বা মফস্বলে ১০০-২০০ বর্গফুটের একটি দোকান খোলার জন্য প্রায় ৩-৫ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তার মধ্যে দোকানের সাজসজ্জা, ফ্রিজ, এসি, কম্পিউটার সিস্টেম, বিলিং সফটওয়্যার এবং প্রাথমিক ওষুধের স্টকও অন্তর্ভুক্ত থাকে।

অন্যদিকে, বড় শহরেে ক্ষেত্রে খরচটা আলাদা। দিল্লী, মুম্বই, বেঙ্গালুরু কিংবা গুরগাঁওয়ের মতো মেট্রো শহরে বড় বা ব্র্যান্ডেড ফার্মাসি খুলতে গেলে বাজেট কমপক্ষে ৮-১৫ লক্ষ টাকা হতে পারে, এমনকি তার থেকে বেশিও লাগতে পারে। সেইসঙ্গে, মাসিক ভাড়া, ইলেকট্রিক বিল, কর্মচারীদের মাইনে এবং মার্কেটিং-এরও খরচ যুক্ত হয়। অনেকেই ফ্র্যাঞ্চাইজি মডেলে দোকান খুলে থাকেন। তার ফলে, ব্র্যান্ডিং এবং সাপ্লাই চেইন অনেকটা সহজ হয়ে যায়। তবে সেই জন্য কোম্পানিকে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে হয়।

একটি লাইসেন্সে কতগুলি দোকান খোলা যেতে পারে?

ভারতে একটি ড্রাগ লাইসেন্স শুধুমাত্র একটি মেডিক্যাল স্টোরের জন্যই প্রযোজ্য। নতুন দোকান খুলতে গেলে, নতুন লাইসেন্স নিতে হয়। অনেকে একটি লাইসেন্স দিয়ে ২-৩টি দোকান চালান। তবে সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। ড্রাগ ইন্সপেকশনে ধরা পড়লে লাইসেন্স বাতিল হতে পারে এবং জরিমানাও দিতে হয়। যদি আপনি ফার্মাসির নেটওয়ার্ক বাড়াতে চান, তবে প্রতিটি ব্রাঞ্চের জন্য আলাদা আলাদা রেজিস্টার্ড ফার্মাসিস্ট এবং ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন। এর ফলে, আপনার ফার্মাসি আইনগতভাবে সুরক্ষিত থাকবে এবং গ্রাহকের আস্থাও বৃদ্ধি পাবে অনেকটাই। 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

এখানে এক টাকার বিনিময়ে সরকার দিচ্ছে জমি! নিয়ম এবং আবেদনের সময়সীমা, জানুন বিস্তারিত
সোনু নিগমের স্মার্ট বিনিয়োগ! প্রত্যেক মাসে ১৯ লাখ নিশ্চিত আয়, যা প্রতি বছর ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে