এমনিতে শুক্রবার কোনও ট্রেডিং হয়নি। বন্ধ ছিল স্টক মার্কেটও।
ফলে, লম্বা ছুটি থাকছে স্টক মার্কেটে। মানে ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত, টানা ৩ দিন ছুটি পাবেন বাজারের সমস্ত ট্রেডার, বিনিয়োগকারী এবং ব্রোকাররা।
এছাড়াও আগামী সপ্তাহে ২০ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেই রাজ্যে বন্ধ থাকবে স্টক মার্কেট এবং বন্ধ থাকবে মহারাষ্ট্রের ব্যাঙ্কও। অন্যদিকে ডিসেম্বরে আবার থাকবে একটি মাত্র ছুটি। জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর বন্ধ থাকবে স্টক মার্কেট।
উল্লেখ্য, বুধবার শেয়ার বাজারে বিরাট ধস নেমেছিল। গত কয়েকদিন ধরেই সেনসেক্স প্রায় নিম্নমুখী। যদিও সপ্তাহের শুরুতে বাজার বেশ চাঙ্গাই ছিল। কিন্তু বুধবার থেকে ফের একবার বদলাতে শুরু করে পরিস্থিতি। এখন দেখার বিষয়, সোমবার থেকে পরিস্থিতি ঠিক কেমন দাঁড়ায়।
এমনকি, বৃহস্পতিবারও রক্তাক্ত ছিল শেয়ার বাজার। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) খোলার সময়ে ৭৭,৬৩৬.৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিল সেনসেক্স। দিনের শেষে যা ৭৭,৫৮০.৩১ পয়েন্টে নেমে আসে। অর্থাৎ, সেনসেক্স নেমে যায় প্রায় ১১০.৬৪ পয়েন্ট। শতাংশের নিরিখে যা ০.১৪ শতাংশ। তবে সেদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৫৫ পয়েন্টে ওঠে বিএসইর সূচক।
অন্যদিকে, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) সূচক বাজার বন্ধ হওয়ার পর ২৩,৫৩২.৭০ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। অর্থাৎ, ২৬.৩৫ পয়েন্ট পড়ে যায় নিফটি। শতাংশের নিরিখে যা প্রায় ০.১১। বাজার খোলার সময়ে এনএসইর সূচক দাঁড়িয়েছিল প্রায় ২৩,৫৪২.১৫ পয়েন্টে।
আর দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩,৬৭৫.৯০ পয়েন্টে উঠেছিল নিফটি। ব্রোকারেজ ফার্মগুলির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২ হাজার ৪৬টি স্টকের দর বৃদ্ধি পেলেও দাম কমে গেছে ১ হাজার ৭৩৯টি শেয়ারের। মোট ৮৮টি স্টকের কোনও পরিবর্তন হয়নি। আর ক্যাটেগরি ভিত্তিক এফএমসিজি, বিদ্যুৎ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এবং তেল ও গ্যাস সংস্থাগুলির শেয়ারের দামে ০.৩ থেকে প্রায় এক শতাংশের পতন হয়েছে।
আর ০.৬ থেকে দুই শতাংশ পর্যন্ত দর বৃদ্ধি পেয়েছে গাড়ি নির্মাণকারী, মিডিয়া এবং রিয়্যাল এস্টেট সংস্থার স্টকেরও। কিন্তু সোমবার আবার বাজার খুললে কি পরিস্থিতি দাঁড়ায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।