পুরনো নোট চলে যায় অ্যান্টিকের দলে। বাতিল হয়ে যাওয়া নোট বা কয়েন বিক্রি করেও লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা যেতে পারে।
পুরনো টাকা জমানোর নেশা রয়েছে? তাহলে আপনার সামনে রয়েছে কোটিপতি হওয়ার সুযোগও। কারণ পুরনো টাকা থেকেই উপার্জন করতে পারেন লক্ষ লক্ষ টাকা। তেমনই সুযোগ রয়েছে অনলইনে। তবে কী করে পুরনো টাকা থেকে আপনি কী করে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে পারেন তারই টিপস রইল এখানে। বলেরাখি শুধু পুরনো নোটই নয়, পুরনো কয়েন থেকেও প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়। পুরনো ও বাতিল হয়ে যাওয়া নোট আর কয়েন ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে পারে আপনার ভাগ্য।
পুরনো নোট বা কয়েন কয়েক বছর পরে হয়ে উঠতে পারে প্রচুর দামি। কারণ পুরনো নোট চলে যায় অ্যান্টিকের দলে। বাতিল হয়ে যাওয়া নোট বা কয়েন বিক্রি করেও লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা যেতে পারে। পুনরো ১ টাকা, ২ টাকার নোট বা কয়েন হাতে থাকলেই কেল্লাফতে। প্রায় হারিয়ে যাওয়া ৫ টাকার নোটও আপনাকে রাতারাতি বড়লোক করে দিতে পারে। এগুলি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। পুরনো কয়েন অ্যান্টিক সামগ্রী হিসেবে নিলাম করা হয়।
ব্রিটিশ আমলের একটি ১ টাকার নোট যদি কারও কাছে থাকে তবে তা বেচে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা আয় করা যেতে পারে। কোনও নোট থাকলে পেরে পারেন ৭ লক্ষ টাকা। তারই বিস্তারিত তথ্য রইল। ব্রিটিশ আমলের ১ টাকার নোট, যা ছাপা শুরু হয়েছিল ১৯৩৫ সালে। সেই নোটে রয়েছে গভর্নর জে ডাব্লুউ -এর স্বাক্ষর। নোটটি প্রায় ৯০ বছরের পুরনো। নোটটির বর্তমান মূল্য প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। এই নোটটি আবার ২৯ বছর আগে ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৫ সালে আবার মুদ্রণ শুরু হয়। তবে বর্তমানে এটি অ্যান্টিকের পর্যায় পড়ে। আর এই ১ টাকার গুরুত্ব খুবই বেশি।
বিক্রি করার উপায়ঃ
কয়েন বাজারের মত কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে পুরনো ও দুর্লভ কয়ের বিক্রি করা যায়। সেখানে ব্যবহারকারীর নাম, ঠিকানা, ইমেল, ফোন নম্বরের মত প্রাথমিক তথ্য দিয়ে নিজেদের নাম রেজিস্ট্রার করে তারপরই কয়েন বিক্রি করতে পারবেন। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে পুরনো নোট বা কয়েন বিক্রির অনুমতি দেয় না। বিক্রির আগে এটাও মাথায় রাখা জরুরি।
বিশেষ দ্রব্যষ্টঃ এই খবরটি বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা। তাই বিনিয়োগের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।