করোনার পরিস্থিতিতে কোথায়ও বিনিয়োগ করাও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়। যেখানেই বিনিয়োগ করবেন সেখানেই কোনও না কোনও সমস্যা। কারণ সামান্য ইনভেস্টে দ্বিগুন লাভ সকলেই চায়। কিন্তু মহাসঙ্কট পরিস্থিতিতে এখন কোনওভাবেই তা সম্ভব নয়। কোথায় সঞ্চয় করলে সুদের হার সঠিক মিলবে তা নিয়েই চিন্তায় ভাঁজ পড়েছে মধ্যবিত্তের কপালে।অগ্নিমূল্য বাজারে কেবল চাকরির উপর নির্ভর করে সেভিংস করা কখনওই সম্ভব হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে এই সরকারি স্কিমে বিনিয়োগ করে। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন সকলেরই রয়েছে। শুধু একটু বুদ্ধি করে ঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করলেই আপনিও হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি।
কোটিপতি হতে গেলে ঠান্ডা মাথায় সবার আগে একটা প্ল্যান বানিয়ে নিতে হবে। যেখানে টাকা ইনভেস্ট করলে আপনার টাকাও যেমন সুরক্ষিত থাকবে ঠিক তেমনই আবার ভালও রিটার্নও পাওয়া যাবে। আর অল্প বিনিয়োগে কয়েক বছরের মধ্যে কোটিপতি হতে চাইলে এই স্কিমে বিনিয়োগ করা সবথেকে বেস্ট অপশন। পোস্ট অফিসে একাধিক স্কিম রয়েছে যেখানে সামান্য টাকা ইনভেস্ট করলেই মিলবে মোটা অঙ্কের রিটার্ন। এরকমই একটি স্কিমে ১০০ টাকা করে প্রতি মাসে জমা করলেই মোটা টাকা আয় করতে পারবেন।
পোস্ট অফিসের এই বিশেষ স্কিমের নাম রেকারিং ডিপোজিট ৷ এই স্কিমে ইনভেস্ট করলে গ্রাহকেরা আরও অন্যান্য সুবিধা পাবেন ৷ পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিটে ছোট ছোট কিস্তিতে সুদের হার ও সরকারি গ্যারেন্টি স্কিমে টাকা রাখতে পারবেন ৷ বর্তমানে রেকারিং ডিপোজিটে ৫.৮ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। ১ এপ্রিল থেকে নতুন রেট চালু হয়েছে। নূন্যতম ১০০ টাকা এবং অতিরিক্ত টাকা রাখার কোনও লিমিট নেই। এক নয়, একাধিক আরডি খুলতে পারবেন গ্রাহকেরা। এছাড়াও জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও খুলতে পারবেন গ্রাহকেরা। রেকারিং ডিপোজিট স্কিম ৫ বছরের জন্য খোলা যায় ৷ রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার ত্রৈমাসিকে হিসেবে দেওয়া হয় ৷ এবং প্রত্যেক তিন মাস পরপর অ্যাকাউন্টে কম্পাউন্ড ইন্টারেস্ট যোগ করাহয় ৷