কারোর পৌষমাস তো কারোর আবার সর্বনাশ, টোকেনাইজেশন সিস্টেমে এরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে CII

টোকেনাইজেশন সিস্টেম চালু হলে অনলাইন ব্যবসায়ীদের আয় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।  মত প্রকাশ দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই-য়ের।

Kasturi Kundu | Published : Dec 28, 2021 3:45 AM IST

কারোর পৌষমাস তো কারোর আবার সর্বনাশ...রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে নতুন বছর থেকে টোকেনাইজেশনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে সাধারন মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে ঠিকই কিন্তু অন্যদিকে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে অনলাইন ব্যবসায়ীদের। টোকেনাইজেশন সিস্টেম চালু হলে অনলাইন ব্যবসায়ীরা তাঁদের আয় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই-য়ের। এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই-র মিডিয়া এবং এন্টারটেইনমেন্ট কমিটি আয়োজিত ডিজিটাল পেমেন্টস অ্যান্ড দ্য ইন্ডিয়া মিডিয়া কনজিউমার-এর একটি ভার্চুয়াল সেশনেই এই বিষয়টিকে সামনে আনা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নতুন টোকেনাইজেশন সিস্টেমে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের কার্ডের তথ্য আর সংরক্ষণ করতে পারবেন না। তাঁর বদলে দেওয়া হবে একটি টোকেন নম্বর। প্রসঙ্গত, গোটা ভারতে আনুমানিক ৯৮.৫ কোটি কার্ড রয়েছে। যার মধ্যে ১.৫ কোটি কার্ড অনলাইন লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা হয় যার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। দ্য কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই-য়ের মতে, টোকেনাইজেশন সিস্টেমটি তিনটি ধাপে এগনো উচিত ছিল। প্রথম টোকেন বিধান, দ্বিতীয় টোকেন প্রক্রিয়করণ ও তৃতীয়ত একাধিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্কেল-আপ করা। 

কোনও মার্চেন্ট সাইটে কার্ডের নথি যেহেতু আর সংরক্ষণের প্রয়োজন হচ্ছে না, তাই তথ্য চুরির ভয় বা কোনও জালিয়াতির আশঙ্কাও অনেকটা কম থাকবে।  রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নির্দেশিত কার্ডের এই টোকেনাইজেশনের প্রযুক্তি অবলম্বন করলে বেশ খানিকটা স্বস্তিতে থাকবে গ্রাহক নিজেও। সম্প্রতি ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অফ ইন্ডিয়া বা NPCI বিগবাস্কেট, গোআইবিবো, মেকমাই ট্রিপ, জিও পে, পেটিম-র মত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে টোকেনাইজেশন পদ্ধতি বা NPCI টোকেনাইজেশন সিস্টেমের (Tokenization System) উপকারিতা আপামোর ইউজারদের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে। এই নতুন পদ্ধতিতেও সবচেয়ে সুবিধাজনক যে ব্যাপারটি হবে সেটি হল,গ্রাহককে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের ১৬ অঙ্কের সংখ্যাটা আর মনে রাখতে হবে না। কেনাকাটার সময়ে কার্ডের নম্বর থেকে সিভিভি বা কার্ডের এক্সপায়ারি ডেটের তথ্যও দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।  তার বদলে লাগবে শুধু একটি টোকেন নম্বর।

আরও পড়ুন-Tokenization Deadline Extended-৩১ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ৩০ জুন চালু হবে টোকেনাইজেশন সিস্টেম

আরও পড়ুন-Tokenization Facility-অনলাইন পেমেন্টের নতুন দিকের উন্মোচন, নতুন বছরে আসছে টোকেনাইজেশন সিস্টেম

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে ডিসেম্বর ৩১ পর্যন্ত অনলাইন লেনদেনের নিয়মে যে ডেডলাইন ছিল তা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হল।  নতুন নিয়ম লাঘু হলে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রয়োজন হয়, যা এই মুহুর্তে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের কাছে নেই। আসলে বিভিন্ন সংস্থাকর স্টেক হোল্ডাররাই টোকেনাইজেশন সিস্টেম চালু করার জন্য আরও কিছুটা সময় চাইছেন। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো না থাকার জন্যই এই নতুন পদ্ধতি এখুনি চালু করা সম্ভব নয়। শুধু স্টেক হোল্ডার বা ছোট ও মাঝারি সাইজের ব্যবসায়ীরাই নয়, ব্যাঙ্কগুলোও এই টোকেনাইজেশন সিস্টেমের সঙ্গে এখুনি পথ চলতে পুরোপুরি তৈরি নয়। 


 

Share this article
click me!