সেঞ্চুরির ঘরের আশোপাশে চক্কর কাটছে টমেটো। কিন্তু এই টমেটোর হাত ধরেই ফিরতে পারে আপনার সৌভাগ্য। জানুন কীভাবে
একদিকে সবজি বাজারে টমেটোর আকাশছোঁয়া দামে(tomato High Price) যখন হাসফাঁস করছে ক্রেতারা, তখন অন্যদিকে আবার টমেটো সংক্রান্ত সুখবরও রয়েছে। টমেটোর দাম সেঞ্চুরি করে ফেললেও, সেই টমেটো থেকে কিন্তু আপনি মোটা অঙ্কের টাকা লাভ করতে পারেন(Good returns)। নিশ্চই ভাবছেন, যে অগ্নিমূল্য এই সবজির সাথে ব্যবসা করলে লাভ কিভাবে সম্ভব। কিন্তু এটাই যে সম্ভব। তাই দেরি না করে এই ব্যবসা শুরুর উদ্যোগটা নিয়েই ফেলুন। বর্তমানে অনেকেই ভিন্নস্বাদের স্টার্টআপ ব্যবসা(Startup Business) করে মাসে মোটা টাকা উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে(To Earn big money per month)। সেই সঙ্গে নিজে সাবলম্বী হওয়ার জন্যও স্টার্টআপ ব্যবসা(Startup Business) অন্যতম একটি উপায়। তাহলে আসুন এই ব্যবসা শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে কী কী প্রয়োজন সেই বিষয় খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।
এই ব্যবসা শুরুর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, খুব বেশী জায়গার প্রয়োজন পড়ে না। স্বল্প পরিসরের মধ্যেই এই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। বলা ভালো, নিজের বাড়িতেই এই ব্যবসা করে লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাড়ির বাগান বা উঠোনেই ছোট করে এই টমেটোর চাষ করে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। টমেটো চাষে যেমন বিপুল জায়গার প্রয়োজন হয় না, ঠিক তেমনই টমেটো চাষে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগেরও দরকার পড়ে না। বরং যদি আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে রয়েছে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা স্কিম (PM Mudra Scheme)। এই স্কিম মারফত কোনও ব্যবসার জন্য সরকারের তরফে লোন পাওয়া যায়। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকেও এই স্কিমের আওতায় লোন নেওয়ার সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ কিছু টাকা নিজের আর বাকি টাকা লোন নিয়ে টমেটো চষের স্টার্ট আপ ব্যবসা শুরু করে জীবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার সুযোগ রয়েছে আপনার হাতে।
আরও পড়ুন-Business Idea-সখেই সাফল্য,করোনা পরিস্থিতিতে এক গৃহবধূর ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার গল্প
আরও পড়ুন-Business Idea-নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন, হতে পারেন টিকিট এজেন্ট, যোগাযোগ করুন IRCTC-র সঙ্গে
এই ব্যবসা করতে মোট প্রয়োজন ৭.৮২ লাখ টাকা। এরমধ্যে আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে ১.৯৫ লাখ টাকা। বাকি টাকা পেয়ে যাবেন সরকারের ঘর থেকে বা ব্যাঙ্ক থেকে। টমেটো চাষের জন্য মোটামুটি এইটুকুই সরঞ্জাম দরকার। এবার টমেটো সস তৈরির জন্য প্রথমে একটি ইউনিট বসাতে হবে। এর জন্যও কোনও বিশালাকৃতি জায়গার প্রয়োজন হবে না। সস তৈরি করতে টমেটোগুলিকে প্রথমে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এরপরে টমেটোর বীজ আলাদা করে ফেলে দিতে হবে। এতে আদা, রসুন, লবঙ্গ, গোলমরিচ, নুন, চিনি পরিমান মতো মেশাতে হবে। তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে টমটো কেচআপ। সুন্দর বোতলে ভরে বিভিন্ন দোকানে বা নিজের বাড়ি থেকেও আপনার নতুন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ব্যবসা শুরুর প্রথমেই বেশ কিছু যন্ত্রপাতির দরকার পড়বে। তখন ২ লাখ টাকা খরচ হবে সেই মেশিন ও যন্ত্রপাতি কিনতে। বাকি ৫ লাখ টাকা খরচ হবে শ্রমিকদের মজুরি, বেতন, প্যাকিং ইত্যাদি কাজে। এার পক্ষে তো গোটা ব্যবসা সামলানো সম্ভব নয়। তাই শুরুতেই আটঘাঁট বেঁধে নামতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বছর শেষে সমস্ত খরচ বাদ দিলেও দেখা যাবে মোটামুটি ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকা লাভ হচ্ছে। বার্ষিক আয়ের এই হিসাবের বিচারে প্রতি মাসে লাভ হবে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা। সব দিক বিচার বিবেচনা করলে দেখা যাচ্ছে, অতিমারিপ করোনা পরিস্থির পর আর্থিক মন্দার বাজারে বেশ ভালো আয়েরই সুযোগ দিচ্ছে টমেটো কেচআপের ব্যবসা।