ব্রেন্ট ক্রুড- গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্ক প্রায় অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারল প্রতি ১৩০ মার্কিন ডলার হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা ১৩৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine war) আঁচ এবার সরাসরি পড়তে চলেছে আন্তর্জাতিক বাজারে। বাড়তে পারে আপরিশোধিত তেলের দাম (Fule Price)। বিশ্ব বাজারে ইরানের অপরিষোধিত তেল এখনও আসেনি। অন্যদিকে রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা চাপান হয়েছে। সেই কারণে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০০৮ সালের থেকেও বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছেন তারা রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা চাপান হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।
ব্রেন্ট ক্রুড- গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্ক প্রায় অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারল প্রতি ১৩০ মার্কিন ডলার হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা ১৩৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সরবরাহের আশঙ্কায় সম্প্রতি আন্তর্জাতিক তেল বাজার একটা বড় ধাক্কা খেয়েছে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পডডতে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর। ইতিমধ্যেই দাম বাড়ছে প্রয়োজনীয় সামগ্রীর।
পেট্রোল ও ডিজেবের দাম ইতিমধ্যেই বেড়েছে। তবে জ্বালানি সরবরাহকারী সংস্থা পোর্টল্যান্ড ফুলেয়ের বস জেমস স্পেন্সার বলেছেন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রা. ১২ শতাংশ বাড়তে পারে।
ইতিমধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আঁচ পড়তে শুরু করেছে শেয়ার বাজারে। ফ্রান্স ও জার্মানির প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জগুলির লেনদেন প্রায় ৪ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লন্ডনে FTSE প্রায় ২ শতাংশ নিচে নেমে এসেছে। একই ভাবে এশিয়ার স্টক মার্কেটগুলিতেও প্রভাব পড়েছে। জাপানের স্টক মার্কেট নিক্কেই ৩ শতাংশ নিচে নেমেছে। হংকংএর হ্যাংসেং ৩.৬ শতাংশ পতন দেখেছে।
তবে এখনই যে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে এমনটা নয়। কারণ রবিবারই মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞ চাপানো হয়েছে তা আপাতত বলবৎ থাকবে। পাশাপাশি এই বিষয়ে মিত্র দেশগুলির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। এই অবস্থায় একমাত্র ভরসা তেরহান। তবে ইরানও যে নিজের স্বার্থ দেখবে না এমনটা নয়। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দাবি তেলের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির কোনও সম্পর্ক নেই।