আইপিও-র হাত ধরে কিভাবে সংস্থা গুলো টাকা বিনিয়োগ করবে এবং তার থেকে লাভবান হবে সেই বিষয় একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করবে SEBI। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জনগনের মত প্রকাশ করার সুযোগ দিচ্ছে SEBI
ইপিও বা পাবলিক ইনিশিয়াল অফারিং-র রমরমা বাজার নজর কেরেছে ছোট বড় অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের। এই বিষয়টির ওপর বিশেষভাবে আলোকপাত করেছেমার্কেট রেগুলেটর, দ্য সিকিউরিটিস অ্যন্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া বা SEBI । আইপিও-র হাত ধরে কিভাবে সংস্থা গুলো টাকা বিনিয়োগ করবে এবং তার থেকে লাভবান হবে সেই বিষয় একটি বিশেষ নির্দেশিকা জারি করবে। এই বিষয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জনগনের মত প্রকাশ করার সুযোগ দিচ্ছে SEBI । অধিগ্রহণ এবং অনির্দিষ্ট কৌশলগত বিনিয়োগের জন্য আয়ের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে। এছাড়াও SEBI -র তরফে জানানো হয়েছে, যে সব স্টার্ট আপ সংস্থা বা টেকলোনজি কোম্পানি গুলো আইপিও-কে হাতিয়ার করে কয়েকদিনের মধ্যে মোটা টাকা লাভের সুযোগ করে করে নিচ্ছে সেই বিষয়টার ওপর বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। শুধু তাই নয়, প্রতি ত্রৈমাসিকে SEBI-র তরফে থেকে থার্ড পার্টি অডিটের ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে জানা যাবে আইপিও-তে টাকাপয়সা লেনদেনের পুংখানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ। সেই সঙ্গে SEBI আরও তৎপরতার সঙ্গে মনিটারিং কমিটি(monitoring committee) অর্থাৎ আইপিও-তে টাকা পয়সা বিনিয়োগের বিষয়টি দেখাশোনা করে তাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দেবে । গত সপ্তাহে SEBI প্রাইমারি মার্কেট অ্যাডভিসরি কমিটির(Market Advisory Committee)বা PMAC-র দায়িত্বও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সংস্থার প্রধান টিভি মোহন দাস পাই(TV Mohan Das Pai)-র সঙ্গে ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা হয়েছে বলে সুত্র মারফৎ খবর।
SEBI-র তরফে আরও জানানো হয়েছে নতুন সংস্থা বা স্টার্টআপ কম্পানি এবং টৈকনোলজি কোম্পানিগুলো যেভাবে আইপিও-র ওপর ভর করে লাভের মুখ দেখছে সেই বিষয়টি একেবারেই স্পষ্ট নয়। এই রকম পরিস্থিতিতে একমাত্র মনিটারিং কমিটির নিবিড় পর্যাবেক্ষনই বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষার জন্য অন্যতম উপায় বলে মনে করেছে SEBI । এই কোম্পানিগুলি প্রাইভেট ইক্যুইটি প্লেয়ার (equity players) এবং অতি উচ্চ নেট-মূল্য বিনিয়োগকারীদের(ultra high net-worth investors) দ্বারা সমর্থিত তাই তারা কোম্পানির কার্যকলাপের উপর কড়া নজর রাখে। সংস্থার উন্নয়নের বিষয় FinSec Law Advisors-র পার্টনার অনিল চৌধুরি বলেন, SEBI যখন আইপিও-তে টাকা লেনদেনের বিষয় একটাই কড়া নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন থার্ড পার্টি অডিটের মাত্রাতিরিক্ত ভূমিকা নিয়েও একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। প্রতি ত্রৈমাসিকে কোম্পানিগুলোর আইপিও-তে বিনিয়োগকারীরা কতটা পরিমান টাকা বিনিয়োগ করছে এবং কিভাবে করছে সেই বিষয় একটা স্পষ্ট ধারনা প্রদান করলে সমস্যার অনেকটা সমাধান হতে পারে বলে মনে করছেন অনিল চৌধুরি। বিশেষ করে স্টার্টআপ সংস্থা এবং নতুন টেকনোলজি সংস্থার ওপর এই নিয়.ম প্রয়োগ করা লাভবান হবে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন-Paytm employees millionnaires-দুর্দান্ত সফল পেটিএম আইপিও,একটা আইপিও-তেই কোটিপতি সংস্থার ৩৫০ জন কর্মী
আরো পড়ুন-ধনতেরাসের আগেই ধামাকাদার অফার, অনলাইন বিউটি প্রোডাক্ট NYKAর
এক মার্কেট বিশেষজ্ঞের মতে, সাবেকি সংস্থা ছাড়া নতুন যেসব কোম্পানি গড়ে উঠছে বা নতুন টেকনোলজি কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশন অনেকাংশে বেশি হয়। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেছেন, ট্রাডিশনাল সংস্থাগুলোর তুলনায় নতুন সংস্থাগুলো অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই দুর্বল তাকে তাই ভ্যালুয়েশনটা স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়। উল্লেখ্য, সম্প্রতি সিক্স নিউ টেকনোলজি কোম্পানির অন্তর্গত পেটিএম, পিবি ফিনটেক,নায়কা, কারট্রেড, জ্যোমাটো এবং নাজারা আইপিও মারফত ২১৬৮০ কোটি ফ্রেশ ইক্যুইটি লাভ করেছে।