দমদমে করোনায় মৃতের সহকর্মী হাসপাতালে, ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে অফিস

Published : Mar 24, 2020, 01:56 PM ISTUpdated : Mar 24, 2020, 03:31 PM IST
দমদমে করোনায় মৃতের সহকর্মী হাসপাতালে,  ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে অফিস

সংক্ষিপ্ত

হাসপাতালে ভর্তি দমদমে করোনায় মৃতের সহকর্মী  প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি ইতিমধ্য়েই তাঁর লালরস নমুনা পরীক্ষার জন্য় নাইসেডে রেলের দফতরে আক্রান্তের সঙ্গে কাজ করতেন তিনিও

এবার করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি দমদমে করোনায় মৃতের সহকর্মী। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্য়েই তাঁর লালরস নমুনা পরীক্ষার জন্য় নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির বয়স ৫৬ বছর। শোনা যাচ্ছে, ফেয়ারলি প্লেসে রেলের দফতরে দমদমের ওই আক্রান্তের সঙ্গে কাজ করতেন তিনিও। বিকেলের মধ্য়েই তার করোনা রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

এদিন  সকালেই করোনার আতঙ্ক থেকে আপাতত স্বস্তি পায় দমদমের মৃতের পরিবার। তাদের লালারসের পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ  এসেছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে। গতকালই মৃত্যু ঘটে করোনায় আক্রান্ত দমদমের বাসিন্দার। স্ত্রী সহ পরিবারের অন্যরা ছিলেন কোয়রান্টিনে। ছেলে আমেরিকায় থাকায় মৃতের সৎকারে আসতে পারেনি পরিবারের লোকজন। 

তবে স্বাস্থ্য় দফতর সূত্রে  জানা গিয়েছে,মৃতের সঙ্গে থাকলেও পরিবারের কারও শরীরে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়নি। তবে তাদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। যদিও দমদমের যোগীপাড়ার ওই ব্যক্তি  করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয় এলাকায়। আপাতত সেই থমথমে পরিবেশ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পেয়েছে এলাকার মানুষজন। তবে নতুন করে তাঁর সহকর্মীর শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়াতে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে রেলের দফতরে। 

জানা গিয়েছে, ৫৭ বছরের দমদমের ওই বাসিন্দার ছেলে আমেরিকায় থাকেন। এরমধ্য়ে বাবার সঙ্গে ছেলের সাক্ষাৎ হয়েছে কিনা তা নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। আক্রান্ত হওয়ার আগে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে ঘুরতে গিয়েছিলেন দমদমের করোনা আক্রান্ত। সস্ত্রীক সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের অনুমান, ট্রেন থেকেই ভাইরাস ছড়িয়েছে তাঁর শরীরে। জানা গিয়েছে, আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে কলকাতায় ফেরেন আক্রান্ত। ট্রেনেও সংক্রমণ হয়ে  থাকতে পারে বলে জানিয়েছিল পরিবারের একাংশ।

সূত্রের খবর, যে ডাক্তার ওই বৃদ্ধকে দেখছিলেন তাঁর কাছে বৃদ্ধের স্ত্রী স্বীকার করেছেন, ইতালি থেকে ফিরছিলেন তাঁদের ছেলে-বউমা। এই খবর জানতে পেরেই ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক হোম কোয়ারানটিনে চলে গিয়েছেন। যে পালমনোলজিস্ট ওই বৃদ্ধকে দেখছিলেন তাঁর প্রথম থেকে বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয়েছিল। বৃদ্ধর স্ত্রী'কে কাউন্সিলিং করার পরই বিষয়টি তিনি চিকিৎসককে জানান। নবান্নে মুখ্য়মন্ত্রীর মুখেও সেই এক কথা শোনা যায়। এদিন করোনা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে যা শোনা যায় খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মুখে।   

PREV
click me!

Recommended Stories

লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে চরম বিশৃঙ্খলা, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের
'বাংলার ফুটবল ইতিহাসে আজ কলঙ্কময় দিন', যুবভারতীর ঘটনায় তীব্র নিন্দা সুকান্তর