২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনাল। গিলক্রিস্ট-পন্টিং-এর দাপটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ব্যাট করে ৩৫৯ রান তুলেছিল। ম্য়াচের পরিসমাপ্তি বলতে গেলে সেখানেই ঘটে গিয়েছিল। কারণ সেই সময় ৩০০-এর বেশি রান উঠলেই তা যথেষ্ট নিরাপদ মনে করা হতো। আর সাড়ে তিনশ'-এর বেশি রান করলে জয় তো নিশ্চিত বটেই।
২০১৯ সালে কিন্তু ৩৫৯ রানটা মোটেই নিরাপদ নয়। আজকাল ৩০০-৩৫০ রান বলতে গেলে প্রায় প্রতিটি ম্য়াচেই হচ্ছে। আর এই বিষয়ে বিশ্ব ক্রিকেটকে বলা যেতে পারে নেতৃত্ব দিচ্ছে একদিনের ক্রিকেটের এক নম্বর দল ইংল্য়ান্ড। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পর সীমিত ওভারের ক্রিকেট দলকে ঢেলে সাজিয়েছিল ইংরেজরা। আর তার ফলেই এখন বিশ্বের সবথেকে গভীর ব্যাটিং লাইনআপ তাদেরই। আর আসন্ন বিশষ্বকাপে তাদের লক্ষ্য প্রথম দল হিসেবে একদিনের ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৫০০ রানের গণ্ডি টপকে যাওয়া। অন্তত তাদের জোরে বোলার মার্ক উড মনে করছেন, পারলে তাঁদের দলই পারবে।
বিবিসি স্পোর্টস-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মার্ক উড বলেছেন, ৫০০ তাঁদের দলের পক্ষে যথেষ্ট বাস্তবসম্মত লক্ষ্য। তিনি বলেছেন, ৩৫০ রান তাঁরা নিয়মিতই তুলে থাকেন। ৪০০ রান তোলাটাও তাঁদের কাছে কোনও ব্যাপার নয়। তাঁরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন, বিপক্ষ যেই হোক, তারা যত রানই তুলুক - সেই রানটা সফলভাবে তাড়া করার ক্ষমতা তাঁদের আছে। নিজেদের ব্য়াটিং গভীরতায় এতটাই বিশ্বাস রয়েছে তাঁদের। আর তাই আসন্ন বিশ্বকাপে একদিনের ক্রিকেটে এক ইনিংসে ৫০০ রান তোলার লক্ষ্য রাখছে তারা।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্ক উড তথা ইংল্যান্ডের এই দাবি যতই আজগুবি লাগুক, ৫০০ রান কিন্তু এই ইংরেজ ব্য়াটিং তুলে দিতেই পারে। গত চার বছরের মধ্যেই তাঁদের ব্য়াটিং লাইনআের হাত ধরে একদিনের ক্রিকেটের দুটি সর্বোচ্চ রানের ইনিংস এসেছে - অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪৮১/৬ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৪৪৪/৩। দুটিই এসেছে নটিংহামে। বিশ্বকাপের আগেও তাদের যন্ত্রসম ব্যাটিং লাইনআপ কাজ করা থামায়নি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলতি সিরিজের দ্বিতীয় ম্য়াচেই তারা ৩৭৩/৪ রান তুলেছিল। আর তার পরের ম্যাচে ৩৫৯ রান তাড়া করে ম্য়াচ জিতেছিল ৩১ বল হাতে রেখে।
সত্যি সত্যিই মার্ক উডের দাবি মতো ৫০০ রান এই বিশ্বকাপেই তুলতে পারে কিনা ইংল্যান্ড, নাকি ৫০০ রান আসবে অন্য কোনও দলের হাত ধরে - সেটাই এখন দেখার।