আইপিএল ২০১৯-এর পর বিশ্বকাপের আগে ছোট্ট একটা ছুটি দেযা হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটারদের। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের মতো কেউ কেউ পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বাকিরা সময় কাটিয়েছেন নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিতে। মঙ্গলবার মুম্বইয়ে সকলেই এসে জড়ো হয়েছেন। ২২ তারিখই হিথরোর বিমান ধরবে মেন ইন ব্লু। তার আগের দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন ভারত অধিনায়ক। উত্তর দিলেন কেদার যাদবের চোট থেকে কুলদীপ যাদবের অফফর্মের মতো বাউন্সার প্রশ্নেরও।
বিশ্বকাপের লক্ষ্য
না কাপ জেতার লক্ষ্য নিয়ে বিরাটের ভারত ইংল্যান্ডে যাচ্ছে না। তা করতে গেলে অযথা চাপ তৈরি হতে পারে। বিরাটের মতে বিশ্বকাপে পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার থেকেও দরকারি চাপ সামলানো। সেই কাজটা করতে পারলেই অর্ধেক কাজ হয়ে য়াবে। তাই সতীর্থদের জন্য বিরাটের মন্ত্র ফোকাসটা ধরে রাখো ভালো ক্রিকেট খেলার উপর। তাহলে ফলাফল আপসেই আসবে।
পিচ-প্রত্যাশা
গরমে ইংল্যান্ডের পিচগুলিতে প্রচুর বড় বড় রানের ইনিংস দেখা যাবে বলে আশা করেছেন অধিকাংশ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞই। বিরাট কিন্তু তা মনে করছেন না। তাঁর মতে পিচ নিশ্চয়ই বড় রান তোলার সহায়ক হবে। আইসিসি পরিচালিত টুর্নামেন্টে তাই হয়ে থাকে। কিন্তু, বিশ্বকাপ তো আর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, এখানে বাড়তি একটি চাপ ফ্যাক্টর থাকে। য়ার জন্য ২৬০-২৭০ রানের ইনিংস-এর ম্য়াচ জিতছে কোনও দল, এমনটাও বিশ্বকাপে দেখা যেতে পারে।
কুলদীপ-উদ্বেগ প্রসঙ্গে
আইপিএল-এ ভারতের বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা সবাই মোটামুটি ভালোই পারফর্ম করেছেন। এর মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে কুলদীপ যাদবের ফর্ম নিয়ে। এমনকী পরের দিকে কেকেআর-এর প্রথম একাদশ থেকে বাদও পড়তে কহয় ভারতের প্রধান স্পিন ফলা-কে। বিরাট অবশ্য এই নিয়ে চিন্তিত নন। তাঁর মতে আইপিএল-এ ফর্ম হারানোটা আশীর্বাদের মতো। এর ফলে বিশ্বকাপের আগে কুলদীপ নিজের খামতিগুলো বুঝে তা মেরামত করার সুযোগ পেয়েছেন। এটা বিশ্বকাপে হলে মুশকিলে পড়ত দল। অধিনায়ক এদিন সাফ জানিয়েছেন, কুলদীপ ও চাহাল ভারতীয় বোলিং আক্রমণের অন্যতম দুই স্তম্ভ।
কেদার যাদব ও আইপিএল-এর ধকল
আইপিএল চলাকালীন অলরাউন্ডার কেদার যাদবের চোট চিন্তায় ফেলেছিল সমর্থকদের। সোমবারই অবশ্য বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল কেদার এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। এদিন বিরাটও তাই জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আইপিএল খেলায় কোনও বাড়তি ধকল পড়েনি ভারতীয় ক্রিকেটার বিশেষ করে বোলারদের উপরে বলেই তাঁর দাবি। তিনি বলেন, আইপিএল-এ কোনও ভারতীয় বোলারেরই ফিটনেসের অভাব দেখা যায়নি। তারা ৪ ওভার করে বল করলেও, মাথার ছিল ১০ ওভার বল করার জন্য নিজেকে তৈরি রাখার বিষয়টি।
২২ তারিখ দেশ ছাড়ছে বিরাট বাহিনী। আগামী ২৫ ও ২৮ তারিখে নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশের সঙ্গে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। আর তারপর আগামী ৫ জুন তারিখ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে শুরু করবে বিশ্বকাপ অভিযান।