বিশ্বকাপ ২০১৯-এ এখন দক্ষিণ আফ্রিকার ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা। রবিবার, চনমনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২১ রানে পরাজিত হতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্রুদ্ধে তো ভরাডুবি হয়েছিল। এখন হাতে পড়ে রয়েছে আর ৭টি ম্য়াচ। কিন্তু, সেই ম্যাচগুলিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ভাবনাতেও পৌঁছতে পারছে না প্রোটিয়া শিবির। কারণ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে তাদের চোটের তালিকা।
এইবারের দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ব্য়াটিং যে দুর্বল তা কারোর অজানা নয়। কিন্তু রাবাডা এনগিদি, স্টেইন, তাহিরদের বোলিং আক্রমণ কিন্তু খুবই শক্তিশালী। সমস্যা হল চোট আঘাতে সেই বোলিং বিভাগও এবার দুর্বল হয়ে পড়ছে। সামনেই ভারত ম্য়াচ। কছঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নামার আগে এবার জানা গেল চোটের জন্য সেই ম্যাচে খেলতে পারবেন না অন্যতম বোলিং শক্তি লুঙ্গি এনগিদি।
রবিবার বাংলাদেশের ইনিংস চলাকালীন সপ্তম ওভারেই বল করতে গিয়ে হ্যামস্ট্রিং-এ চোট পেযে মাঠ ছেড়েছিলেন এনগিদি। আর মাঠে ফিরতে পারেননি। দলের ম্য়ানেজার মহম্মদ মপসাজি জানিয়েছেন, এনগিদির চোটের যা অবস্থা তাতে ১০ দিন থেকে ২ সপ্তাহের জন্য তিনি মাঠের বাইরে চলে গিয়েছেন। কাজেই ভারতের বিরুদ্ধে তাঁর নামার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এখন চেষ্টা করা হচ্ছে তার পরের ওয়েস্টইন্ডিজ ম্যাচের যাতে খেলতে পারেন।
চলতি বিশ্বকাপটা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দুঃস্বপ্নের মতো যাচ্ছে। একদিকে দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই ফর্ম হারিয়েছেন। তার উপর চোট আঘাতের তালিকাটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এখনও চোট কাটিয়ে মাঠে নামতে পারেননি ডেল স্টেইন। প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ডু প্লেসিস জানিয়েছিলেন, স্টেইন ৮০ শতাংশ সুস্থ। তবে ভারত ম্য়াচে তিনি খেলবেন এটা আশা করা যায়।
আবার প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের জোরে বোলার জোফ্রা আর্চারের একটি শর্টবল আছড়ে পড়েছিল হাশিম আমলার হেলমেটে।মাঠ ছেড়ে হাসপাতাসলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। তারপর ফিরে এসে সেই ম্যাচে আবার ব্যাট করলেও, তার পরের দিনই তিনি কিছু অসুবিধা বোধ করেন। তাই বাংলাদেশ ম্য়াচে তাঁকে খেলানো হয়নি। ভারতের বিরুদ্ধে তিনিও প্রথম একাদশে ফিরবেন বলে ধরে নেওয়া যায়।