বিশ্বকাপ - প্রত্যেক ক্রিকেটারই স্বপ্ন দেখেন ক্রিকেটের এই সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে খেলার। আর কাপ এবং ঠোঁটের দূরত্বটা যখন কমতে কমতেও শেষ পর্যন্ত মিটে য়ায় না, তখন হতাশ হওয়াটা অত্যন্ত স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। এর আগে ভারতের প্রাথমিক ১৫ জনের দল থেকে বাদ পড়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় খোলাখুলি হতাশা ব্যক্ত করেছিলেন আম্বাতি রায়ডু। এবার সেই জায়গায় রায়ডুর সঙ্গে মিলে গেলেন সীমান্তের ওইপারের জুনেইদ খানও।
গত ১০ ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সিতে ১৩টি উইকেট দখল করার পরও বিশ্বকাপের চুড়ান্ত দলে তাঁকে বাদ দিয়ে নেওয়া হয়েছে অভিজ্ঞ জোরে বোলার মহম্মদ আমিরকে। ২০১৭ সালে শেষ বার একদিনের ম্যাচ খেলা ওয়াহাব রিয়াজকেও দলে ফেরানো হয়েছে। জুনেইদের বাদ পড়া প্রসঙ্গে পাক নির্বাচক প্রধান ইনজামাম উল বলেছেন, তিনি ভালো পারফর্ম করলেও ইংল্যান্ডের মাটিতে কার্যকর হবেন না বলেই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় জুনেইদ মুখে কালো টেপ লাগিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিকেছেন, 'আমি কিছু বলব না। সত্য কর্কশ।' পরে অবশ্য সেই টুইট সরিয়েও নিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর ওই টেপ লাগানো মুখের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এর আগে রায়ডুকে বাদ দিয়ে ভারতীয় নির্বাচকরা বলেছিলেন, তাঁর বদলে সুযোগ পাওয়া বিজয় শঙ্কর ত্রিমাত্রিক খেলোয়াড়। তারপর হতাশ রায়ডু সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, তিনি ত্রিমাত্রিক চশমা কিনবেন বিশ্বকাপের খেলা দেখার জন্য। কোথাও গিয়ে বিশ্বকাপ না খেলার হতাশা মিলিয়ে দিলে সীমান্তের দুই পারের ক্রিকেটারকে।