দেখতে দেখতে কেটে গেল ১১টা বছর। ২০০৮ সালের ১৮ অগাস্ট ভারতীয় ক্রিকেটে আবির্ভাব ঘটেছিল সচিন পরবর্তী সেরা ভারতীয় ব্য়াটসম্যানের। শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটেছিল বিরাট কোহলির। প্রপথম ম্যাচে অবশ্য সেভাবে ব্যাটে বলে হয়নি বিরাটের মাত্র ১২ রান করতে পেরেছিলেন ১৯ বছরের বিরাট। তবে সেই ছোট ইনিংসেই নিজের প্রতিভা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।
তারপর থেকে ১১ বছরে নানা মণিমুক্ত জুড়েছে বিরাটের কেরিয়ারে। সচিন তেন্ডুলকরের যেইসব রেকর্ড মনে হত ভাঙা অসম্ভব, সবই প্রায় অনায়াসে নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছেন তিনি। প্রথম শতরান এসেছিল ২০০৯ সালে। আর ২০১৯-এ এসে আপাতত তাঁর শতরানের সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৪২টিতে। সামনে আছেন শুধুমাত্র মাত্র সচিন (৪৯)।
এখনও পর্যন্ত ২৩৯টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। এছাড়া, টেস্ট খেলেছেন ৭৭টি এবং টি২০আই ৭০টি। ওডিআই, টেস্ট টি২০আই ক্রিকেটে তাঁর রানসংখ্যা যথাক্রমে ১১৫২০, ৬৬১৩ এবং ২৩৬৯। সম্প্রতি তিনি প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে তিনি একদশকে ২০০০০ রান করার রেকর্ড করেছেন।
তাঁর বিরাটত্ব বুঝতে পরিসংখ্যানই যথেষ্ট। আর পরিসংখ্যান বলছে তাঁর অভিষেকের পর থেকে তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনিই (২০,৫০২)। সবচেয়ে বেশি শতরান (৬৮), অর্ধশতরান (৯৫), দ্বিশতরান (৬)-ও রয়েছে তাঁর ঝুলিতেই। বিরাট সাধারণত বেশি ছয় মারেন না। তবে সবচেয়ে বেশি চারও মেরেছেন তিনিই (২,০৪৭)। আর ম্য়াচের সেরা? ৫৩ বার সেরা হয়ে এই ক্ষেত্রেও সবার আগে আছেন ভারত অধিনায়কই।
গত ১১ বছরে সাফল্যের পাশাপাশি সম্মানও কম পাননি বিরাট। ২০১৩ সালেই তাঁকে অর্জুন পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ভারত সরকারে পক্ষ থেকে তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধী দেওয়া হয়। আর তার পরের বছরই ভারতীয় খেলাধূলার সর্বোচ্চ সম্মান রাজীব খেলরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়। এছাড়া আইসিসির বিচারে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে পর দুইবার তিনি সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। একদিনে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ২০১২, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে। আর ২০১৮ সালে তাঁকে সেরা টেস্ট খেলোয়াড়ের সম্মানও দেওয়া হয়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সোশ্য়াল মিডিয়ায় বিরাট-ভক্তরা বিরাট আবির্ভাবের এই বিশেষ দিনটি কীভাবে উদযাপন করছেন -