বিশ্ব জুড়ে এখন রমরমিয়ে চলছে টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ। বিগত প্রায় ২ মাস ধরে আরব আমিরশাহিতে বসেছিল আইপিএলের আসর। ১০ তারিখ শেষ হয়েছে আইপিএল। এবার ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিগ ব্যাশ। জনপ্রিয়তার নিরিখে আইপিএলের পরেই রয়েছে বিগ ব্যাশ লিগ। করোনা আবহে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামেই হবে প্রতিযোগিতা। তাই বিগ ব্যাশ লিগের রোমাঞ্চ বাড়াতে তিনটি নতুন নিয়ম আনতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক দশম মরসুমে কোন তিনটি নতুন নিয়ম আনতে চলেছে বিগ ব্যাশ।
১) পাওয়ার সার্জ-
ওয়ান ডে ক্রিকেটে যেমন পাওয়ার প্লে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিগ ব্যাশ কর্তৃপক্ষ ঠিক তেমনই ২০ ওভারের পাওয়ার প্লে-কে ২ ভাগে ভাঙতে চলেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে পাওয়ার সার্জ। খেলার শুরুতে ৪ ওভারের পাওয়ার প্লে থাকব। বাকি ২ ওভারের পাওয়ার প্লে ১১ থেকে ২০ ওভারের মধ্যে নিতে পারবে। ম্যাচের রোমাঞ্চ আরও বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২) এক্স ফ্যাক্টর ক্রিকেটার-
এই নিয়মটি একসময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া সুপার সাবের মত। প্রয়োজন মত একজন প্লেয়ার বদলি করতে পারবে দুই দল। তবে এক্ষেত্রে শুধু দলগুলি নিজেদের প্রথম ইনিংসের ১০ম ওভারের মধ্যে একজন 'এক্স ফ্যাক্টর' ক্রিকেটারকে বদলির সুযোগ পাবেন। টিম লিস্টে ১২ বা ১৩তম ক্রিকেটার হিসেবে যাঁর নাম ঘোষনা করা হবে তাঁকে দলগুলি বদলি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে এমন ক্রিকেটারের বদলে যার ব্যাট করা হয়নি বা মাত্র ১ ওভার বল করেছেন।
৩) ব্যাশ বুস্ট-
এই নিয়মটি ক্রিকেটে একেবারে নতুন। এর আগে কোনও খেলায় এই নিয়ম ব্যবহার করা হয়নি। ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বীতা আরও বাড়াতেই এই নিয়মের কথা ভেবেছে বিগ ব্যাশ লিগ কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ম অনুযায়ী ম্যাচ জেতার ফলে তিন পয়েন্টের পাশাপাশি আর ও একটি ব্যাশ বুস্ট পয়েন্ট পেতে পারেন দলগুলি। রান তাড়া করার সময় মধ্যবর্তী সময়ে রান তাড়া করা দল যদি এগিয়ে থাকে তাহলে তারা একটি ব্যাশ বুস্ট পয়েন্ট পাবেন আর পিছিয়ে থাকলে সেই পয়েন্ট পাবে বিপক্ষ দল। এখন দেখার বিষয় কতটা দর্শকের মনে ধরে সেটাই দেখার। তবে নিয়মগুলি ক্রিকেটের আকর্ষণ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছে অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় টি২৯ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ।