আইপিএল ২০২১-এ (IPL 2021) মুখোমুখি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad)। এই ম্য়াচ। প্রথমে ব্য়াট করে ২৩৫ রানের বিশাল স্কোর করল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) দল। জবাবে ১৯৩ থামল মনীশ পাণ্ডের (Manish Pandey) দলের ইনিংস
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের (Sunrisers Hyderabad)ম্য়াচ জিতলেও প্লে অফে উঠতে পারল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians)। প্রথমে ব্য়াট করে ২৩৫ রান করে করে ৫ বারের আইপিএল (IPL) চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে ১৯৩ রানে থামে মনীশ পাণ্ডের (Manish Pandey)দল। ৪২ রানে ম্য়াচ জেতে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)ব্রিগেড। প্লে ওঠা না হলেও, জয় দিয়ে মরসুম শেষ করল মুম্বই। এক ঝলকে জেনে নিন এই ম্য়াচের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মুহূর্ত।
ইশান কিশানের দুরন্ত বিধ্বংসী ব্য়াটি-
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ইনিংসকে এদিনের ম্য়াচে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেন তরুণ ওপেনার ইশান কিশান। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং করতে থাকেন তিনি। মাত্র ১৬ বলে পূরণ করেন নিজের অর্ধশতরান। অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৮০ রানের পার্টনারশিপ করেন ইশান কিশান। ৩২ বলে ৮৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ১১ টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
সূর্যকুমারের ঝোড়ো ইনিংস-
ইশান কিশান আউট হওয়ার পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ইনিংসকেস কার্যত একা টেনে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। এক দিক থেকে লাগাতার উইকেট পড়লেও নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন। দীর্ঘ দিন পর রানে ফিরে খুশি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স তারকা। দলকে ২৩৫-এর পাহাড় প্রমাণ রানের গণ্ডীতে পৌছে দেন তিনি। শেষে নিজে ৪০ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। ১৩টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
হায়দরাববাদের বোলিং বিভাগের ব্যর্থতা-
এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং তাণ্ডবের সামনে দাঁড়াতে পারেনি কোনও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বোলার। জোসেন হোল্ডার ৪ উইকেট নিলেন খরচ করেন ৪ ওভারে ৫২ রান। সিদ্ধার্থ কল দেব ৪ ওভারে ৫৬ রান। মহম্মদ নবি দেন ৩ ওভারে ৩৩ রান। উমরান মালিক ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রাশিদ খান ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে শিকার করেন ২টি। একমাত্র অভিষেক শর্মাই এক ওভার বল করে ৪ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।
জেসন রয় ও অভিষেক শর্মার ভালো শুরু-
২৩৬ রানের পাহাড় প্রমাণ টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দুই ওপেনিং ব্য়াটসম্যান জেসন রয় ও অভিষেক শর্মা। ইনিংসের শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন তারা। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন তারা। ষষ্ঠ ওভারে ৬৪ রানের মাথা প্রথম উইকেট পড়ে হায়দরাবাদের। ৩৪ রানে করে ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হন জেসন রয়। ৩৩ রানে করে জিমি নিশামের শিকার অভিষেক শর্মা। ৭৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে অরেঞ্জ আর্মির।
মনীশ পাণ্ডের অনবদ্য ব্য়াটিং-
এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলান মনীশ পান্ডে। ব্য়াট হাতে অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন তিনি। মনীশের সৌজন্যের ম্য়াচ জিততে না পারলেও ২০০ দোরগোড়ায় পৌছায় হায়দরাবাদের রান। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট আসে ডান হাতি ব্য়াটসম্য়ানের ব্যাট থেকে। শেষ ৪১ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মনীশ পাণ্ডে। ৭টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস।
মুম্বইয়ের বোলিং-
এদিন ম্য়াচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বোলারদেরও সময় খুব একটা ভালো যায়নি। ম্য়াচ জিতলেও ভালোই রান খরচ করেছেন বুমরা, কুল্টারনাইল, পীযুষ চাওলারা। একমাত্র ট্রেন্ট বোল্ট কিছুটা ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন বোল্ট। ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন বুমরা। ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন পীযুষ চাওলা। ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ন্য়াথান কুল্টারনাইল। ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন জিনি নিশাম।
আরও পড়ুনঃশরীরের প্রতিটি আঁকে বাঁকে উষ্ণতার আবেদন, চিনে নিন সিএসকে তারকার হট অ্যান্ড গ্লামারাস বোনকে
প্লে অফে ওঠা হল না মুম্বইয়ের-
মুম্বই যদি হায়দরাবাদকে ১৭১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দেয়, তাহলে শেষ চারের টিকিট পাকা করার সুযোগ ছিল রোহিত শর্মার দলের কাছে। তবে এমন অসাধ্য সাধন করাটা সহজ নয় তা জানা ছিল সকলেরই। তবে প্রাণপণ চেষ্টা করল ৫ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাটিং করে ২৩৫ রান করে রোহিত শর্মার দল। ২৩৫ রান খাড়া করার পর কেকেআরে প্লে অফের টিকিট পাকা করতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে করতে হত ৬৫ রান। সেই অপেক্ষাতেই ছিল কেকেআর দল ও সমর্থকরা। ইনিংসের শুরু থেকেই ঝোড়ো ইনিংস খেলতে শুরু করে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার জেসন রয় ও অভিষেক শর্মা। একের পর এক আক্রমণাত্মক শট খেলতে থাকেন তারা। পাওয়ার প্লে-তেই এক উইকেটে হারিয়ে ৬৫ রান পেরিয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ৩৪ রান করে আউট হন জেসন রয়। ৬৫ পেরোতেই প্লে অফে জায়গা পাকা হয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্সের।