"সারা ঘরে ভেসে বেড়াচ্ছিল সৌরভের সুটকেস"- মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন সচিন

বন্ধুত্ব মানেই খুনসুটি। আর সেই খুনসুটির হাত ধরে একে অপরের পিছনে লাগতেও ছাড়তেন না তাঁরা। সেরকমই একটা ঘটনার কথা স্মরণ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটের মাস্টার ব্লাস্টার। বিসিসিআই সভাপতি ও দীর্ঘদিনের বন্ধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৫০তম জন্মদিনে সচিন হাঁটলেন ডাউন মেমোরি লেন ধরে। 

Parna Sengupta | Published : Jul 8, 2022 7:48 AM IST

সচিন-সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেটের যুগ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু তারও বাইরে যেটা রয়ে গিয়েছে সেটা হল একটা নিখাদ বন্ধুত্ব। ক্রিকেট মাঠের বাইরেও যার ছাপ বহুবার পেয়েছেন তাঁদের অনুরাগীরা। ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই স্তম্ভ  বহুকাল হল ব্যাট নামিয়ে রেখেছেন হাত থেকে। তবে এখনও সেই বন্ধুত্বের খাতিরে দেখাসাক্ষাত চলতেই থাকে। সচিন সৌরভের প্রথম সাক্ষাত হয়েছিল বিসিসিআই আয়োজিত জুনিয়র টুর্নামেন্টে। তারপর প্রয়াত বাসু পরাঞ্জপে ইনচার্জের সাথে BCCI দ্বারা পরিচালিত বার্ষিক ক্যাম্পে নিয়মিত দেখা হতে থাকে তাঁদের। 

বন্ধুত্ব মানেই খুনসুটি। আর সেই খুনসুটির হাত ধরে একে অপরের পিছনে লাগতেও ছাড়তেন না তাঁরা। সেরকমই একটা ঘটনার কথা স্মরণ করলেন ভারতীয় ক্রিকেটের মাস্টার ব্লাস্টার। বিসিসিআই সভাপতি ও দীর্ঘদিনের বন্ধু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ৫০তম জন্মদিনে সচিন হাঁটলেন ডাউন মেমোরি লেন ধরে। 

সচিন বলেন "আমরা ইন্দোরে ক্যাম্পের আগে একটি টুর্নামেন্টে কানপুরে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। কৈলাশ গাত্তানির অধীনে স্টার ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করে ইংল্যান্ডেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ইন্দোরে অনূর্ধ্ব-১৫ শিবিরে সম্ভবত আমরা একসাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম এবং একে অপরকে জানতে পেরেছিলাম। এই সময় থেকেই একটা চমৎকার বন্ধুত্বের সূচনা হয় যা আমরা দুজনেই ভাগ করে নিয়েছি।"

এই সময় সৌরভের সঙ্গে দারুণ মজা করেন সচিনরা। সঙ্গে ছিলেন ভারতের আরেক প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং পরে জাতীয় নির্বাচক যতীন পরাঞ্জপে, কেদার গডবোলে। তাঁরা নাকি আক্ষরিক অর্থে সৌরভের ঘরে "বন্যা" করেছিলেন। তিনি যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন তারা ঘরের ভিতরে জলের বালতি ঢেলে দেন। 

সচিন বলেন "আমার মনে আছে সৌরভ একদিন বিকেলে ঘুমাচ্ছিল। যতীন পরাঞ্জপে, কেদার গডবোলে এবং আমি তার ঘর জলে ভরে দিয়েছিলাম। সঙ্গে সঙ্গে সৌরভ জেগে যায়। কি হচ্ছে গোটা ঘরে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনি। শুধু দেখেছিল গোটা ঘরময় জল আর ওর সুটকেসগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে। তারপর সৌরভ বুঝতে পারে এই কান্ড কারা ঘটিয়েছে।"

সেদিন থেকে বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়ে যায়। শৈশবের এই মজার মুহুর্তগুলোর জন্যই আজও দারুণ সম্পর্ক তাদের মধ্যে। সচিন আরও বলেছেন "আমরা এমন স্কুলে থাকতাম যেগুলি পুরানো দুর্গের মতো ছিল এবং স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ভয় পেতাম আমরা। আর বন্ধুরা একসঙ্গে হয়ে আরও ভয় দেখানোর জন্য নানা ফন্দী আঁটত। 

Read more Articles on
Share this article
click me!