ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই দলের মধ্যে। বিরাট কোহলির (Virat Kohli)দলের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ ১৭৪ রানে। ডিন এলগারের (Dean Elgar) দলের টার্গেট ৩০৪ রান।
তৃতীয় দিনের পরেছিল ১৮ উইকেট। সেঞ্চুরিয়নে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনও রইল বোলারদের নামে।সারা দিনে পড়ল মোট ১৩ উইকেট। তবে বক্সিং ডে টেস্টে শেষ দিনের আগে চালকের আসনে ভারতীয় দল। ইতিমদধ্যেই জয়ের গন্ধও পেতে শুরু করেছে বিরাট কোহলি, কেএল রাহুল, জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা। কারণ শেষ দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ৬ উইকেট। ভারচতের দেওয়ার ৩০৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে চতুর্থ দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৯৪ রানে ৪ উইকেট। অর্ধশতরান করে ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক ডিন এলগার। এছাড়া রয়েছে টেম্বা বাভুমা ও কুইন্টন ডিককের মত ব্যাটসম্যান। ফলে ম্য়াচ জিততে হলে এই তিনটি উইকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভারতের কাছে। অপরদিকে, লড়াই কঠিন হলেও শেষ দিনে ম্য়াচ জয়ের জন্য প্রোটিয়া ব্রিগেডের দরকার ২১১ রান, হাতে রয়েছে ৬ উইকেট। ফলে পঞ্চম দিনে সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জনে উঠবে তা বলাই যায়।
চতুর্থ দিনের সকাবে ১৬ রানে এক উইকেট থেকে খেলা শুরু করে ভারতীয় দল। তৃীতয় দিনের শেষ বেলায় প্যাভেলিয়নে ফিরে যান প্রথম অর্ধশতরান করা মায়াঙ্ক আগরওয়াল।চতুর্থ ব্যাটিং শুর করেন কেএল রাহুল ও নাইট ওয়াচম্য়ান শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু চতুর্থ দিন সকাল থেকেই সেঞ্চুরিয়নের অসমান বাউন্সের উইকেটে আগুন ঝড়াতে শুরু করেন রাবাডা, এনগিডি, জানসেনরা। কোনও বড় পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি ভারতীয় ব্য়াটসনম্য়ানরা। পিচে 'জুজু' থাকলেও বিরাট কোহলি, অজিঙ্কে রাহানে, ঋষভ পন্থরা ভুল শট সিলেকশনের কারণে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হন চেতেশ্বর পুজারা। ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ঋষভ পন্থ। তাছাড়া ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপে কেএল রাহুল ২৩, রাহানে ২০, কোহলি ১৮, পুজারা ১৬ রান করেন। মাত্র ১৭৪ রানে শেষ হয় ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসে লিডের সৌজন্যে ৩০৪ রানের টার্গেট দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রোটিয়াদের হয়ে চারটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাডা ও মার্কো জানসেন। এছাড়া ২টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি।
৩০৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার আইডেন মার্করামের উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ১ রান করে মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হন তিনি। এরপর ইনিংসের রাশ ধরার চেষ্টা করেন অপর ওপেনার তথা অধিনায়ক ডিন এলগার ও কেগান পিটারসেন। দুজনে মিলে ৩৩ রানের পার্টনারশিপ করেন। ৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পরে প্রোটিয়াদে। ১৭ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হন পিটারসেন। এরপর এলগারের সঙ্গে ৪০ রানের পার্টনারশিপ করেন ভ্যান ডার ডুসেন। কিন্ত বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন ডুসেনও। দলের ৭৪ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ১১ রান করে বুমরার শিকার হন তিনি। এরপর নাইট ওয়াচ ম্য়ান হিসেবে আসেন কেশব মহারাজ। অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান এলগার অর্ধশতরানওপূরণ করেন তিনি। দিনের একেবারে শেষ আউট হন কেশব মহারাজ। ৮ রান করে বুমরার বলে আউট হন তিনি।