২০১৮ থেকে একাধিক ক্রিকেটারকে ব্যবহার করা হয়েছে টেস্ট ওপেনার হিসেবে। মুরলী বিজয়, শিখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল, পৃথ্বি শাহ, ময়ঙ্ক অগরওয়াগ, হনুমা বিহারি তালিকাটা বেশ লম্বা। কিন্তু এখনও লম্বা রেসের ঘোড়া হিসেবে কোনও ব্যাটসম্যানই নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। ধাওয়ান ও বিজায় দীর্ঘদিন খেলেছেন, কিন্তু খখনই তারা ধারাবাহিক হতে পারেননি। কে এল রাহুল এসে কিছুটা ভরসা দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরও সেই ধারাবাহিকতার অভাব, পৃথ্বি শাহ শতরান করে টেস্ট অভিষেক করলেন। প্রথমে চোট ও পরে ডোপিং কান্ডে সাসপেন্ড হয়ে দলের বাইরে। অস্ট্রেলিয়ায় তাই ময়ঙ্ক আগারওয়াল ও হনুমা বিহারিকে দিয়ে ওপেন করিয়েও দেখেন শাস্ত্রী কোহলিরা। কিন্তু কোনও জুটিই স্বস্তি দিতে পারেনি ভারতীয় টেস্ট দলকে। ময়ঙ্ক মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছেন, তাই তাকে আরও কিছুটা সময় দিতে চাইছেন নির্বাচকরা। কিন্তু রাহুলের জন্য ওয়ার্নিং বেল।
এখন প্রশ্ন ওপেনার হিসেবে কে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বারবার বলে আসছেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতই টেস্টেও রোহিতকে দিয়ে ওপেন কারানো হোক। ঠিক তিনি যেমনটা করেছিলেন বিরেন্দ্র শেহওয়াগের ক্ষেত্রে। ভারতীয় দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর শেষ করার পর একই কথা বলছেন জাতীয় নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ। তাঁর মতেও ওপেনার হিসেবে রোহিতকে ভাবা যেতেই পারে। বৃহস্পতিবারের নির্বাচনী বৈঠকে ওপেনিং নিয়েই সব থেকে বেশি সময় দিতে হবে। অনেকের মতে আবার ভারতীয় এ দলের হয়ে ভাল পারফর্ম করা শুভমান গিলকেও ওপেনিংয়ের জন্য ভাবা হোক। এমএসকে প্রসাদের নির্বাচক কমিটি এখন কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।
ওপেনিং নিয়ে কিছুটা জল্পনা থাকলেও বাকি ভারতীয় দল নিয়ে কোনও রকম জল্পনা নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফর্ম করা ভারতীয় মিডিল অর্ডার বা বোলিং বিভাগে কোনও পরিবর্তনেরস সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। শুধু দেখার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলে কতজন উইকেট কিপারকে দলে রাখা হয়। পন্থ প্রথম পছন্দ হিসেবে থাকছেন, ,বাংলার পাপালি কি সুযোগ পাবেন? প্রশ্ন ক্রিকেট মহলে। অক্টোবরের ২ তারিখ থেকে বিশাখাপত্তনমে শুরু হবে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট হবে যথাক্রমে পুণে ও রাঁচীতে। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজে অংশ নেবে দুই দল।