জয় দিয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু করল গুজরাট টাইটানস। আইপিএল 2022-এর তৃতীয় দিনে লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর বিরুদ্ধে উইকেটে জয় পেল তারা।
৫ উইকেটে জয় দিয়ে আইপিএল যাত্রা শুরু করল হার্দিক পাণ্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন গুজরাত টাইটান্স। আইপিএল-এর তৃতীয় দিনের যুদ্ধ ছিল টুর্নামেন্টের দুই শিশু ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্য়ে। আর সেই প্রতিযোগিতায় প্রবল লড়াই করেও ১ বল বাকি থাকতে পরাজয় স্বীকার করল লখনউ সুপার জায়ান্টস। মহম্মদ শামির বিস্ফোরক স্পেলে ৫ ওভারের মধ্যেই ২৯ রানে ৪ উইকেট হারালেও, সেখান থেকে দলকে লড়াই করার মতো ১৫৮/৬ স্কোরে পৌঁছে দিয়েছিলেন দীপক হুডা এবং নবাগত আয়ুশ বাদোনি। কিন্তু, রান তাড়া করতে নেমে মাঝে পথ হারালেও, শেষ পর্যন্ত রাহুল তেওয়াটিয়ার দুর্দান্ত আগ্রাসী ইনিংস তাদের জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দিল।
এবারের আইপিএল-এই যুক্ত হয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাত টাইটান্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিস তারা। দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর ক্রিকেট ম্যাচ উপহার দিল দুই দল। প্রথম থেকে সাপের ফনার মতো খেলার একবার ঝুঁকে পড়ল এলএসজির দিকে, একবার জিটির দিকে। ম্যাচের শুরুতেই, পাওয়ার প্লের মধ্যেই কেএল রাহুল (০), ডিকক (৭) এবং মনীশ পাণ্ডে (৬)-কে ফিরিয়ে দিয়ে লখনউকে জোর ধাক্কা দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি। তাঁকেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের সেরা বাছা হল। অন্যদিকে, এভিন লুইস-এর (১০) উইকেট নেন বরুণ অ্যারন।
তবে, তারপর আবার লখনউকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল দীপক হুডা (৫৫) এবং এদিনই আইপিএল অভিষেক হওয়া আয়ুশ বাদোনি (৫৪)। তাদের ৬৮ বলে ৮৫ রানের জুটি দলকে ফের পথে ফিরিয়ে এনেছিল। শেষের দিকে নেমে ১৩ বলে ২১ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়াও। ১৫৮ রান নিঃসন্দেহে জেতার জন্য যথেষ্ট ছিল না, তবে লখনউ এই রান হাতে নিয়েও দুর্দান্ত লড়াই করে গেল একেবারে শেষ ওভার পর্যন্ত।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে সমল্যায় পড়েছিল গুজরাটও। কেএল রাহুলের মতো নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে শুরুটা একেবারেই ভাল হল না শুভমান গিলেরও (০)। প্রথম ওভারে তাঁকে, তারপর তৃতীয় ওভারে বিজয় শঙ্কর (৬)-কেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দুষ্মন্ত চামিরা। তারপর ম্যাথু ওয়েড (২০) এবং অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া (৩৩) দলের ইনিসং থিতু করেন। কিন্তু, একাদশতম ওভারে দুই ভাইয়ের লড়াইয়ে বাজিমাত করেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। সীমিত ক্ষমতা নিয়েও এদিন তিনি দুর্দান্ত বল করলেন। নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েছেন। পরের ওভারে ম্যাথু ওয়েডকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দীপক হুডা।
১২ ওভারের শেষে জিটির স্কোর ছিল ৭৯-৪। পরের তিন ওভার ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন লখনউ-এর বোলাররা, রান আসে মাত্র ১২। তবে, ১৬তম ওভার থেকেই পাল্টা আক্রমণের পথে গিয়েছিলেন রাহুল তেওয়াটিয়া (২৪ বলে ৪০) এবং ডেভিড মিলার (২১ বলে ৩০)। দীপক হুডার সেই ওভারে আসে ২২ রান। রবি বিষ্ণোইয়ের পরের ওভার থেকে ১৭। ১৮তম ওভারে দীপক হুডা তাঁকে আউট করেন। কেএল রাহুলের হাত থেকে ক্যাচ ফস্কে গিয়েছিল, তিনবারের চেষ্টায় ধরেন।
১৯ তম ওভারে চামিরা ৯ রান দিয়েছিলেন। নবাগত অভিনব মনোহর একটি এবং তেওয়াটিয়া একটি চার মেরেছিলেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। আবেশ খানের প্রথম দুটি বলেই চার মারেন অভিনব মনোহর। শেষ ৩ বলে ২ রান বাকি ছিল। তেওয়াটিয়া চার মেরে দলকে জিতিয়ে দেন। নবাগত মনোহর ৭ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।