আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এ মুখোমুখি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (MI vs RCB)। প্রথমে ব্যাট করে ১৫১ রান করল রোহিত শর্মার দল। ফাফ ডুপ্লেসির দলের টার্গেট ১৫২ রান।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্স। প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয়ের শেষে সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে ভর করে সম্মানজনক স্কোর করে রোহিত শর্মার দল। ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরসিবি অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেও একটা সময় ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। সেখান থেকে দলের রাশ ধরেন সূর্যকুমার যাদব। ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে পাঁচবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। সূর্যকুমার যাদব বাদে ২৬ রান করেন রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন ওয়ানেন্দু হাসরঙ্গা ও হার্শল প্যাটেল।
এদিন ব্য়াট হাতে ইনিংসের শুরুটা কিন্তু খুব ভালোই করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের দুই তারকা ওপেনার রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। দুজনেই বেশি কিছু আক্রমণাত্মক শটও খেলেন। রোহিত-ইশান ক্রিজে সেট হওয়ার পর বড় রান উঠবে বলেও ধরে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ভক্তরা। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। দলের ৫০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৬ রানে হার্শল প্যাটেলের বলে আউট হন রোহিত শর্মা। এরপর হয়তো কেউ ভাবতেও পারেনি ১২ রানের ব্যবধানে ৫টি উইকেট হারাবে পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। রোহিত শর্মা আউটের পর ক্রিজে আসেন ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। কিন্তু ৮ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৬০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। ওয়ানেন্দু হাসরঙ্গার বলে আউট হন বেবি এবি।
এরপর দলের ৬২ রানের মাথায়া কার্যত ধস নামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ব্যাটিং লাইনআপে। দলের স্কোরবোর্ড ৬৩ থেকে ৬৩ হওয়ার আগে আরও ৩টি উইকেট পড়ে রোহিত শর্মার দলের। প্রথমে ব্যক্তিগত ২৬ রান করে আকাশ দীপের বলে আউট হন ইশান কিশান। এরপর ফর্মে থাকা তিলক ভার্মা খাতা খোলার আগেই রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান। এরপর ক্রিজে এসে হাসঙ্গার প্রথম বলেই আউট হন কায়রন পোলার্ড। ৬২ রানের ৫ উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড়ে যায় মুম্বই। এরপর রমনদীপ সিং ক্রিজে আসেন। অপরদিকে দাঁড়িয়ে ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। নিজের স্বাভাবিক ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। ৭৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে মুম্বইয়ের। ৬ রান করে হার্শল প্যাটেলের শিকার হন রমনদীপ সিং। এরপর একদিকে থেকে একার কাঁধে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। তাকে সঙ্গ দেন জয়দেব উনাদকাট। নিজের অর্ধশতরা করার পাশাপাশি দলের স্কোরও ১৫০ পার পৌছে দেন সূর্যকুমার যাদব। উনাদকাটের সঙ্গে করেন ৭২ রান পার্টনারশিপ। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৩৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার। ৬টি ছয় ও ৫টি চারে সাজানো তার ইনিংস। ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন উনাদকাট। আরসিবির জয়ের টার্গেট ১৫২।