
আইপিএল ২০২২-এ টানা পঞ্চম হার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৪ উইকেটে ম্য়াচ জিতে জয়ের রাস্তায় ফিরল দিল্লি ক্য়াপিটালস। এই হারের ফলে কেকেআরের শেষ তারে যাওয়ার রাস্তা অনেকটাই অনিশ্চিৎ হয়ে গেল। ম্য়াচে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্য়াপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে কেকেআর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন নীতিশ রানা। ৪২ করেন শ্রেয়স আইয়র। ২৩ রান করেন রিঙ্কু সিং। এছাড়া অন্য়ান্য কেই ১০ রানের গণ্ডী টপকাতে পারেনি। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব ও ৩টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। রান তাড়া করতে নেমে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দিল্লি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৩ রান করেন রভম্য়ান পাওয়েল। ২৪ করেন অক্ষর প্যাটেল ও ২২ করেন ললিত যাদব। কেকেআরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন উমেশ যাদব। জয়ে ফিরে খুশি ঋষভ পন্থের দল।
এদিন ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি কেকেআরের। ৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। চেতন সাকারিয়ার বলে ৩ রান করে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। এরপর ক্রিজে আসেন শ্রেয়স আইয়র। ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে নাইটদের। ৬ রান করে অক্ষর প্য়াটেলের বলে আউট ভেঙ্কটেশ আইয়র। দলের ৩৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রান করে কুলদীপ যাদবের বলে আউট হন বাবা ইন্দ্রজিৎ। ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই কুলদীপ যাদবের দ্বিতীয় শিকার হন সুনীল নারিন। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন শ্রেয়স আইয়র ও নীতিশ রানা। দুজন মিলে ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান। ৪৮ রানের পার্টনারশিপ করেন দুজন।দলের ৮৩ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪২ রানে কুলদীপ যাদবের তৃতীয় শিকার হন শ্রেয়স আইয়র। আর একই ওভারে ৩ বলে খেলে খাতা না খুলে কুলদীপের চতুর্থ শিকার হন আন্দ্রে রাসেল। এরপর নীতিশ রানা ও রিঙিকু সিং এগিয়ে নিয়ে যান স্কোর বোর্ড। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। একইসঙ্গে অনবদ্য ব্য়াটিং করে ৩০ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরিও পূরণ নীতিশ রানা। শেষ ওভারে গিয়ে বিগ হিট করতে গিয়ে আউট হন রিঙ্কু। ২৩ রান করে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট হন তিনি। ৬২ রানের পার্টনারশিপ করেন রানা ও রিঙ্কু। শেষ ওভারে ৫৭ রান করে আউট হন নীতিশ রানা। খাতা না খুলেই প্যাভেলিয়নে ফেরত যান টিম সাউদি। শেষ ওভারে তিন উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করে কেকেআর।
রান তাড়া করতে নেমে উমেশ যাদবের প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন পৃথ্বি শ। দ্বিতীয় ওভার আইপিএল ডেবিউতে মিচেল মার্শের উইকেট নেন হর্শিত প্যাটেল। ১২ রান করে আউট হন মিচেল মার্শ। এরপর দিল্লির ইনিংসের রাশ ধরেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ললিত যাদব। একদিক থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্য়াট করে যান ওয়ার্নার। খেলেন বেশ কিছু অনবদ্য শট। অপরদিকে ধীর গতিতে হলেও তাকে সঙ্গ দেন ললিত যাদব। নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করে ওয়ার্নার ও ললিত জুটি। ৮২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে দিল্লির। ৪২ রান করে উমেশ যাদবের দ্বিতীয় শিকার হন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপরই ৮৪ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। ২২ রান করে সুনীল নারিনের বলে আউট হন ললিত যাদব। ৮৪ রানেই পঞ্চম উইকেট পড়ে দিল্লির। ২ রান করে উমেশ যাদবের তৃতীয় শিকার হন ঋষভ পন্থ। এরপর ইনিংসের রশ কিছুটা ধরেন অক্ষর প্য়াটেল ও রভম্য়ান পাওয়েল। দ্রুত গতিতে ২৪ রান করেন অক্ষর প্য়াটেল। কিন্তু ১৫ তম ওভারের শেষ বলে রান আউট হন অক্ষর। ১১৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন রভম্য়ান পাওয়েল ও শার্দুল ঠাকুর। ১৯ ওভারে খেলা শেষ হয়ে যায়। ৪ উইকেচে ম্য়াচ জেতে দিল্লি। ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রভম্যান পাওয়েল ও ৮ রান করে নট আউট থাকেন শার্দুল ঠাকুর। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলে ষষ্ঠ স্থানে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস।