
কার্যত একতরফা ম্য়াচে কলকাতা নাইটরাইডার্সকে হারিয়ে শেষ চারের টিকিট পাকা করে ফেলল লখনই সুপার জায়ান্টস। শ্রেয়স আইয়রের দলকে ৭৫ রানের বিশাল ব্যবদধানে হারাল কেএ রাহুলের দল। আর এই হারের ফলে এবারের মত আইপিএলএ শেষ চারে ওঠার আশা কার্যত শেষ কেকেআরের। ম্য়াচে টস দিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়র। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রান করে লখনউ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান রান করেন কুইন্টন ডিকক। এছাড়া ৪১ রান করেন দীপক হুডা। এছাড়া ২৮ রান করেন মার্কাস স্টয়নিস ও ২৫ রান করেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভার ৩ বলে ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় কেকেআর। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। ২২ করেন সুনীল নারিন। ১৪ রান করেন ফিঞ্চ। এছাড়া কোনও ব্য়াটসম্যান ১০ রানের গণ্ডী পার করতে পারেনি।
এদিন ব্য়াট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি লখনউ সুপার জায়ান্টসের। প্রথম ওভারেই একটিও বল না খেলে রান আউট হয়ে যান কেএল রাহুল। দুরন্ত থ্রো করেন শ্রেয়স আইয়র। এরপরই রুদ্রমূর্তি ধারন করেন ডিকক ও দীপক হুডা। পাওয়ার প্লে-তে একের পর এক আক্রমণাত্নমক শট খেলেন তারা। ঝড়ে গতিতে নিজেদের মধ্যে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করে ফেলেন। ২৭ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন কুইন্টন ডিকক। ৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের। ৫০ রান করে সুনীল নারিনের বলে আউট হন কইন্টন ডিকক। এরপর দীপক হুডা ও ক্রুণাল পাণ্ডিয়া ৩৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। ১০৭ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। বোলিংয়ে এসেই ফের একবার উইকেট নিয়ে দলেক সাফল্য এনে দেন আন্দ্রে রাসেল। ৪১ রান করে রাসেলের বলে আউট দীপক হুডা। এরপর রাসেলের দ্বিতীয় ওভারে দলের ১২২ রানে ২৫ রান করে আউট হন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। এরপর লখনউয়ের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান আয়ূশ বাদোনি ও মার্কাস স্টয়নিস। ১৯ তম ওভারে শিবম মাভিকে ছয়ের হ্য়াটট্রিক মেরে আউট হন স্টয়নিস। করেন ২৮ রান। পরের দুটি বলে এসে ২টি ছয় মারেন জেসন হোল্ডার। শেষ ওভারে সাউদির বলে ১৩ রান করে আউট হন হোল্ডার। শেষ বলে রান আউট হন দুষ্মান্তা চামিরা। ২০ ওভারে ১৭৬ রান করল লখনউ সুপার জায়ান্টস।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি কেকেআরের। প্রথম চারটি উইকেট খুব দ্রুত হারায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম ওভারেই খাতা না খুলে মহসিন খানের বলে আউট হন বাবা ইন্দ্রজিৎ। এরপর শ্রেয়স আইয়র এসেও সমস্যা পড়েম মহসিন খানের বলের সামনে। আর দলের ১১ রানের মাথায় ফের একবার শট বলের কমজুড়ির সামনে আউট হন শ্রেয়স আইয়র। দুষ্মান্তা চামিরার বলে ৬ রান করে আউট হন তিনি। এরপর ২৩ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে কেকেআরের। জেসন হোল্ডারের বলে ১৪ রান করে আউট হন অ্যারন ফিঞ্চ। এদিন ব্য়র্থ হন নীতিশ রানাও। দলের ২৫ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২ রান করে আভেশ খানের বলে বোল্ড হন রানা। এরপর ক্রিজে এসে বিধ্বংসী ব্য়াটিং শুরু করেন আন্দ্রে রাসেল। একের পর এক ওভার বাউন্ডারি ও বাউন্ডারি মারেন তিনি। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ করেন। এরপর দলের ৬৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রানে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হন রিঙ্কু সিং। এরপর বেশিক্ষণ নিজের ইনিংস চালাতে পারেননি রাসেলও । ৮৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে। আবেশ খানের বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রাসেল। এরপর এসে খাতা না খুলেই আভেশ খানের বলে আউট হন অনুকল রায়। ৯৯ রানে আউট হন সুনীল নাকিন। ২২ রান করে জেসন হোল্ডারের বলে আউট হন তিনি। এসেই খাতা না খুলে আউট হন টিম সাউদি। একই ওভারে রান আউট হন হর্শিত রানা। ১০১ রানে অলআউট হন কেকেআর। ৭৫ রানে ম্যাচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে এল লখনউ সুপার জায়ান্টস।