
রুদ্ধশ্বাস লাস্ট ওভার লাস্ট বল থ্রিলারে সানরাইজার্স হায়দরবাদকে হারাল গুজরাট টাইটানস। শেষ ওভারে ২২ রান করে ম্য়াচ জিতল হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ৫ উইকেটে ম্য়াচ জিতল গুজরাট। উমরান মালিক অনবদ্য বোলিং করে ৫ উইকেট নিলেও তা কাজে এল না। ম্য়াচ জিতিয়ে নায়ক ঋদ্ধিমান সাহা, রাশিদ খান ও রাহুল তেওয়াটিয়া। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটানসের কোচ হার্দিক পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৬৫ রান করে অভিষেক শর্মা। এছাড়া ৪০ বলে ৫৬ রান করে আইডেন মার্করাম। এছাড়া শেষের দিকে ৬ বলে ২৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন শশাঙ্ক সিং। গুজরাট টাইটানসের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন মহম্মদ শামি। রান তাড়া করতে নেমে শেষ বলে ম্য়াচ জেতে গুজরাট টাইটানস। ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৯ রান করে গুজরাট। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রানে ইনিংস খেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। এছাড়া ৪০ ও ৩১ রানের বিদ্ধংসী ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন রাশিদ খান ও রাহুল তেওয়াটিয়া।
ব্য়াট করতে নেমে ইনিংসের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ২৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে। ৫ রান করে মহমম্মদ শামির বলে বোল্ড হন কেন উইলিয়ামসন। ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ১৬ রান করে মহম্মদ শামির দ্বিতীয় শিকার হন রাহুল ত্রিপাঠী। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন অভিষেক শর্মা ও আইডেন মার্করাম। বেশি কিছু চোখ ধাধানো শট উপহার দেয় এই জুটি। নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন অভিষেক শর্মা। ৯৬ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দেয় অভিষেক শর্মা ও আইডেন মার্করাম। দলের ১৪০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৫ রান করে আলজারি জোসেফের বলে আউট হন অভিষেক শর্মা। অপরদিকে অর্ধশতরান পূরণ করেন মার্করাম। ১৪৭ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। ৩ রান করে শামির বলে আউট হন নিকোলাস পুরান। দলের ১৬১ রানে ৫৬ রানের ইনিংস খেলে যশ দয়ালের বলে আউট হন মার্করাম। এরপর ৩ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন ওয়াশিংটন সুন্দর। শেষের দিকে ছোট কিন্তু বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন শশাঙ্ক সিং। লকি ফার্গুসনের শেষ ওভারে মোট চারটি বিশাল ছক্কা মারে হায়দরাবাদ। একটি মারেন মার্কো জানসেন ও তিনটি মারেন শশাঙ্ক সিং। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৯৫ রান করে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে গুজরাট টাইটানস। প্রথম থেকেই মারকাটারি শট খেলা শুরু করে গুজরাটের দুই ওপেনার ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। দ্রুত গতিতে নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করে ঋদ্ধি-শুবমান জুটি। অবশেষে ৬৯ রানের পার্টনারশিপ করার পর প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। ২২ রান করে উমরান মালিকের বলে বোল্ড হন শুবমান গিল। এদিন ব্য়াট হাতে বড় রান করতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। মাত্র ১০ রান করেই উমরান মালিকের দ্বিতীয় শিকার হন গুজরাট অধিনায়ক। ৮৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান ঋদ্ধিমান সাহা। বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন তিনি। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। হার্দিক আউট হওয়ার পর ঋদ্ধি ও ডেভিড মিলার মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। ৩৭ রানের পার্টনারশিপ যোগ করার পর আউট হন ঋদ্ধিমান। ১২২ রানে পড়ে তৃতীয় উইকেট। ৬৮ রানে ঝোড়ো ইনিংস খেলে উমরান মালিকের তৃতীয় শিকার হন ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর ১৩৯ রানে আউট হন ডেভিড মিলার। ১৭ রান করে উমরান মালিকের চতুর্থের শিকার হন মিলার। ১৪০ রানে খাতা না খুলেই উমরানের পঞ্চম শিকার হন অভিনব মনোহর। এরপর রাহুল তেওয়াটিয়া ও রাশিদ খান মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। দুজন মিলে মারকাটারি ব্য়াটিং করে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২২ রান। একটি ছয় মারেন রাহুল তেওয়াটিয়া ও ৩টি ছয় মারেন রাশিদ খান। শেষ বলে ছয় মেরে ম্যাচ জেতান রাশিদ খান। ২১ বলে ৪০ করে অপরাজিত থাকেন তেওয়াটিয়া ও ১১ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন রাশিদ খান। ৫ উইকেটে ম্য়াচ জিতে লিগ টেবিলের শীর্ষে উঠে এল গুজরাট টাইটানস।