রাহুল- শ্রেয়স মিলে করলেন ৪২১, বাকিরা করলেন মাত্র দু' রান বেশি

  • নিউজিল্যান্ড-এর বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ-এ হোয়াইটওয়াশ ভারত
  • ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় কিউইদের
  • ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সফল শুধু রাহুল এবং আইয়ার
  • অধিনায়ক কোহলি সহ বাকিরা প্রায় সবাই ব্যর্থ

debamoy ghosh | Published : Feb 12, 2020 5:24 AM IST

এতদিন মিডল অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা ছিল বিরাট কোহলিদের। নিউজিল্যান্ড-এর বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ-এ মিডল অর্ডার নিয়ে চিন্তা কিছুটা কমলেও বাকি ব্যাটসম্যানদের ফর্ম কিছুটা হলেও চিন্তা বাড়াবে ভারতীয় সমর্থকদের। 

নিউজিল্যান্ড-এর বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ-এ  ৩-০ হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে কোহলিদের। পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, নিউজিল্যান্ড-এর বিরুদ্ধে সিরিজে-এ কে এল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার মিলে মোট ৪২১ রান করেছেন। আর বাকি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা করেছেন সবমিলিয়ে ৪২৩ রান। অর্থাৎ রাহুল- শ্রেয়সের সম্মিলিত রানের থেকে তিনটি ম্যাচে সুযোগ পাওয়া বাকি ভারতীয় ব্যাটস্যম্যানরা করেছেন মাত্র দু' রান বেশি। 

নিউজিল্যান্ড সিরিজ-এ ভারতীয়দের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ব্যাটিং। ধারাবাহিকতা আর বিরাট কোহলি যেন সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ব ক্রিকেটে। কিন্তু নিউজিল্যান্ড-এ তিনটি একদিনের ম্যাচে তিনি মাত্র ৭৫ রান করেছেন। যা ভারতীয় সমর্থকদের কাছে কিছুটা চিন্তার কারণ বটেই। 

ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা অনেকটাই ঢেকে গিয়েছে কে এল রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটিংয়ে। তিন ম্যাচে একটি শতরান সহ ২০৪ করেছেন রাহুল। তাঁর ব্যাটিং গড় ১০২। অন্যদিকে শ্রেয়সের সংগ্রহ ২১৭ রান। 

গত বছর বিশ্বকাপের আগে থেকে চার নম্বর জায়গায় যোগ্য ব্যাটসম্যানের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিরাটরা। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে চার নম্বরে মোট ১৩ জন ব্যাটসম্যানকে খেলানো হয়েছে। ৯১টি ইনিংস খেলে এই চার নম্বরে এই ১৩ জন ব্যাটসম্যান-এর সামগ্রিক গড় ছিল ৩৫.১৪. সেখানে এখনও পর্যন্ত ৮টি ইনিংস-এ চার নম্বরে ব্যাট করে শ্রেয়স একটি শতরান এবং চারটি অর্ধ শতরান সহ ৫৬.৮৫ গড়ে ব্যাটিং করেছেন। ফলে চার নম্বর জায়গাটা আপাতত তিনি নিজের নামে পাকা করে নিতে পেরেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর পাঁচ নম্বরে বিরাটদের ভরসা দিচ্ছেন কে এল রাহুল। প্রয়োজনে তিনি ওপেনও করতে পারেন। সঙ্গে কিপিংটাও ভালই সামলে দিচ্ছেন। সিরিজ হারলেও মিডল অর্ডারে রাহুল- শ্রেয়সের ব্যাটিংই বিরাটদের একমাত্র প্রাপ্তি। 

চলতি সিরিজ-এ চোটের কারণে রোহিত শর্মা এবং শিখর ধাওয়ানকে পায়নি ভারত। তাঁরা ফিরলে নিউজিল্যান্ড-এর বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ-এ শুরুর দিকে যে সমস্যা দেখা গিয়েছে, তা মিটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এই সিরিজ-এর পর কেদার যাদবের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। ৩৪ বছর বয়সি কেদার দু'টি ম্যাচে সুযোগ পেয়ে মাত্র ৩৫ রান করেন কেদার। অন্যদিকে শেষ ম্যাচে সুযোগ পেয়েই ৪২ রান করেন মনীশ পান্ডে। মনীশকে বাদ দিয়ে কেন কেদারকে বার বার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। কারণ অল রাউন্ডার হলেও কেদারকে দিয়ে নিয়মিত বোলিংও করানো হচ্ছে না। 

Share this article
click me!