ছেলে উপর শাস্তির খাঁড়া, চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া ছাড়লেন রবি বিষ্ণই-এর মা

  • অনুর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর হয় হাতাহাতি
  • বাংলাদেশ ও ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা এতে জড়ান
  • ঘটনায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ আইসিসি এবং দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড
  • এরপরই ম্যাচ রেফারির সুপারিশে ৫ ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া হয়

Reetabrata Deb | Published : Feb 13, 2020 3:19 AM IST

 অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হওয়ার পর ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দেশের ক্রিকেটারেরা। আইসিসি সেই হাতাহাতির ভিডিয়ো খতিয়ে দেখেছে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর দুই দেশ মিলিয়ে পাঁচ ক্রিকেটারের শাস্তি ঘোষণা করে আইসিসি। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন তিন জন। তারা হলেন শরিফুল ইসলাম, তৌহিদ হৃদয় ও শামিম হোসেন। ভারতীয় দল থেকে ঘটনায় নাম উঠে এসেছে লেগস্পিনার রবি বিশ্নই ও বাঁ-হাতি পেসার আকাশ সিংহের। 

আইসিসি-র কোড অফ কন্ডাক্ট অনুসারে সাতটি ডিমেরিট পয়েন্ট ও পাঁচটি সাসপেনশন পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে ভারতের তরুণ লেগস্পিনারের  নামে। একটি সাসপেনশন পয়েন্ট, অর্থাৎ একটি ম্যাচ নির্বাসিত। পাঁচটি ম্যাচে বিশ্নইকে মাঠের বাইরে বসতে হবে। বিশ্বকাপের ১৭টি উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হয়েছেন তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির এই ব্যবহার কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা তাঁর পরিবার।

 গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত রবির বাবা মাঙ্গিলাল বিশ্নই। তিনি জানিয়েছেন, রবির মা মঙ্গলবার থেকেই খাবার মুখে তুলতে পারছেন না। পরিবারের সব চেয়ে শান্ত সদস্য ছিল রবি, সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন মাঙ্গিলাল বিশ্নই। তিনি আরো বলেছেন বলেছেন, ঠিক কি ঘটনা হয়েছিল তা তার জানা নেই। তার ছেলে জানিয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা মিলে এক ভারতীয় ক্রিকেটারকে নিয়ে অভব্য মন্তব্য করে। তার প্রতিবাদ করতে গিয়েই সম্ভবত এই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছে রবি, বলে জানিয়েছেন তিনি।

অবশ্য হাতাহাতি ছাড়াও বিশ্নইয়ের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান অভিষেক দাসকে আউট করে কিছু অত্যন্ত উগ্র অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন তিনি। উত্তেজনায় তিনি আউট হওয়া ব্যাটসম্যান কে প‍্যাভেলিয়নে ফেরত যেতে ইঙ্গিত করেন। এই ব্যবহার আইসিসি বিধি সম্মত নয়। এর আগেও এইরকম ব্যবহার করে শাস্তি পেয়েছেন অনেক খেলোয়াড়। আইসিসি-র ২.৫ ধারা অমান্য করার জন্যও শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ভারতীয় লেগস্পিনারকে। 

মাঠের মধ্যে হাতাহাতির এই ঘটনায় হতচকিত প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন বিষাণ সিংহ বেদী থেকে কপিল দেবের মতো ক্রিকেটাররা। ভারতীয় অনুর্ধ ১৯ দলের অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ জানিয়েছিলেন, তারা শান্তই ছিনেন। হার-জিত খেলারই অঙ্গ। কিন্তু বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা জয়ের উত্তেজনায় প্রচণ্ড নোংরামি করেছে। যা একজন ক্রিকেটারের থেকে এটা কখনওই কাম্য নয়।

যদিও ম্যাচের পরে সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক আকবর আলি  দলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন। আকবর জানিয়েছিলেন জয়ের আনন্দে সেই সময় ঠিক কী হয়েছিল তা তিনি জানেন না। কিছু ঝামেলা ও ত্রুটিপূর্ণ ঘটনা যে ঘটেছিল তা আকবর মেনে নিয়েছিলেন। এবং দলের হয়ে সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন।

Share this article
click me!