এই অনুর্ধ ১৯ দলের থেকে শেখা উচিত সিনিয়রদের, মন্তব্য বাংলাদেশী ক্রিকেটার মমিনুলের

ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের জন্য অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জিতলো বাংলাদেশ দল
টেস্টে বাংলাদেশের সিনিয়র দলের জঘন্য পারফরম্যান্স অব্যহত
বছরের প্রথম টেস্টে তারা পাকিস্তানের কাছে হারলো ইনিংস ও ৪৪ রানে
 

Reetabrata Deb | Published : Feb 10, 2020 1:18 PM IST

আনন্দ এবং হতাশা মিশিয়ে মিশ্র এক অনুভূতির কবলে মমিনুলরা। পাকিস্তানের কাছে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তারা হেরেছেন ইনিংস ও ৪৪ রানে। বিশ্রীভাবে টেস্ট হারের কষ্টের মধ্যে তাঁদের শুভেচ্ছাবার্তা জানাচ্ছে পাকিস্তানিরা। কারণ কালই দক্ষিণ আফ্রিকার পচফস্ট্রুমের সেনওয়াজ পার্কে ভারতকে হারিয়ে অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে বাংলাদেশ। দুঃখের মধ্যেও তাই খানিক সুখ খুঁজে পাচ্ছেন মমিনুলরা। 

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই হার নিশ্চিত জেনেও বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা বসে যান টিভির সামনে। চতুর্থ দিনে প্রত্যাশিত ভাবেই তারা যান। তার মধ্যেই টেস্টে হারের দুঃখ ভুলে হোটেলে বসে তাঁরা আনন্দে মেতেছেন ছোটদের সাফল্যে। 

শেষ এক বছর ধরে টেস্টে টানা হেরে চলেছে বাংলাদেশ।  শেষ জয় এসেছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। তারপর থেকে যেন ক্রিকেটের বড় সংস্করণে কীভাবে খেলতে হয়, সেটিই ভুলে গেছে তারা। গত বছর টানা পাঁচ টেস্টে হেরেছিল তারা। এ বছরও শুরু হলো হার দিয়ে।  সাদা পোশাকে হারতে হারতে হাঁপিয়েই উঠেছে বাংলাদেশ। যদিও রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ফলাফল অপ্রত্যাশিত নয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। টেস্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে এই ফলাফলই আশা করছিলেন সকলে।

গতকাল অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে আকবর আলিরা কী ভয়ংকর উত্তেজনার মধ্যে ম্যাচটা যেভাবে পকেটে পুড়লেন ধৈর্য ধরে, যেভাবে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকতা দেখিয়ে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটাররা শিরোপা জিতলেন তা থেকে অনেক কিছু শেখার আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাম্প্রতিক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। জুনিয়র, সিনিয়র দল নির্বিশেষে সকলে সকলের কাছ থেকে শিখতে পারেন বলে মনে করছেন তিনি। বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৯ দল যেন তাদের বড়দের চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়েছে, কীভাবে বড় মঞ্চে সাফল্য পেতে হয়।

শিরোপা জিতে পুরো বাংলাদেশকে আনন্দে ভাসিয়েছেন আকবর আলির দল। দেশের ক্রীড়া ইতিহাসে এখনো অবধি সবচেয়ে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে এই দল। এই সাফল্যের পর এখন তাঁদের লক্ষ্য বাংলাদেশ সিনিয়র জাতীয় দলে খেলা। সেই দলে আসার আগেই যে নজির তৈরি করেছেন বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৯ দলের ক্রিকেটাররা, তাতে ভীষণ আশাবাদী হয়ে উঠছেন টেস্ট অধিনায়ক। তার মতে যারা এই অনুর্ধ ১৯ দলে খেলেছে, তাদের সাফল্যর জন্য ভীষণ খিদে ছিল। দুই বছর ধরে দলের সবাই সহবস্থান করেছিল। একজন অপরজনকে ভালোভাবে জানা, ভালো যোগাযোগ, একে অপরের ওপর ভরসা করা, কাল মাহেন্দ্রক্ষনের আগে একজনের আরেকজনকে উৎসাহ দেওয়া, প্রতিপক্ষকে পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানো, এসব অনেক ইতিবাচক দিক ছিল এই দলে। এটা অবশ্যই অনুর্ধ ১৯ বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের একটি বড় পাওয়া। মমিনুল আরো আশা করছেন যে এই অনুর্ধ ১৯  বিশ্বকাপে খেলা ছয়-সাতজন খেলোয়াড়কে তারা ভবিষ্যতে জাতীয় দলে পাবেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

Share this article
click me!