
রবিবার, নিউজিল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া (New Zealand vs Australia), টি২০ বিশ্বকাপ ২০২১-এর ফাইনালে (T20 World Cup 2021, Final) দুই ভিন্ন দেশের জার্সি গায়ে দেখা যাবে দুই ছেলেবেলার বন্ধুকেও। প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচের সেরা নিউজিল্যান্ডের ওপেনার ডেরিল মিচেল (Daryl Mitchell) এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ঝোড়ো ইনিংস খেলা অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস (Marcus Stoinis)। ছোটবেলায় তাঁরা স্কুল ক্রিকেট এবং গ্রেড স্তরের ক্রিকেটে একই দলের হয়ে খেলেছেন। পরবর্তীকালে, দুজনে ভিন্ন পথে পা বাড়ান।
২০০৯ সালে প্রথম-শ্রেণীর দল স্কারবোরোর (Scarborough) হয়ে খেলতেন। সেই দলে তাঁর সতীর্থ ছিলেন মার্কাস স্টয়নিস এবং জাস্টিন ল্যাঙ্গার (Justin Langer), যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া দলের প্রধান কোচ। প্রিমিয়ারশিপের লড়াইয়ে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে স্কারবোরোর জয়ের নায়ক ছিলেন স্টয়নিস এবং মিচেলই। সেমিফাইনালে স্টয়নিস ব্যাট হাতে করেছিলেন ১৮৯ রান। অন্যদিকে, ফাইনালে বেসওয়াটার-মর্লের বিরুদ্ধে ড্যারিল মিচেল, ২৬ রানে ৪ উইকেটের একটি ম্যাচ জেতানো বোলিং স্পেল করেছিলেন। প্রায় এক দশক পর, তিনজনের আবার সাক্ষাত হবে, টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে। মিচেল এবং স্টয়নিস যখন মাঠে থাকবেন, ল্যাঙ্গার থাকবেন সাইডলাইনে।
২০১১ সালে স্টয়নিস এবং ড্যারিল মিচেলের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছিল। অজি অলরাউন্ডার পাড়ি দিয়েছিলেন মেলবোর্নে, আর মিচেল ফিরে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডে। খেলেছিলেন নর্দান ডিস্ট্রিক্টস-এর হয়ে। পার্থ এবং মেলবোর্নে ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ পারফরম্যান্সের জোরে স্টয়নিস দ্রুতই অজি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। অন্যদিকে ড্যারিল মিচেলের সময় লাগলেও, তিনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের ছাপ রেখেছেন। তাঁদের স্কারবোরোর সতীর্থরা বলেন, দুই অলরাউন্ডারের মধ্যে বহু মিল রয়েছে। দুজনেই প্রায় সবসময় চেষ্টা করে চলেছেন, নিজেদের খেলার আরও কীভাবে উন্নতি করা যায়। এমনকী কফি খেতে গেলেও তারা হয়, ব্যাটিং কিংবা বোলিং নিয়ে কথা বলে থাকেন। দুজনেই আসম্ভব পরিশ্রম করেছেন, আজ যেখনে আছেন, সেখানে পৌঁছনোর জন্য।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি ছাড়া এই টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতে খুব একা রান করতে পারেননি স্টয়নিস। তবে এই অজি অলরাউন্ডার বিগ ম্যাচ প্লেয়ার হিসাবেই পরিচিত। কিউইদের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়াকে জিততে হলে ফাইনালে কিন্তু স্টয়নিসের ব্যাটে রান আসাটা খুব দরকারি।
অন্যদিকে, ড্যারিল মিচেল এই টুর্নামেন্টেই প্রথম ওপেন করতে এসে ৬ ম্যাচে ১৯৭ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে, সেনিফাইনালে তাঁর অপরাজিত ৭২ রানই দলের জয়ে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সাফল্য পেতে গেলেও নিউজিল্যান্ডের হয়ে তাঁকে ব্যাটে-বলে সফল হতে হবে। দুই ছোটবেলার বন্ধুর মধ্যে কে জেতে, এখন সেটাই দেখার।