
বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ২০২১-এর (T20 World Cup 2021) সুপার ১২ পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশকে সহজেই ৮ উইকেটে হারালো ইংল্যান্ড। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে, বাংলাদেশ ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ইংরেজ বোলারদের দাপটে, ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারায় বাংলাদেশিরা। এরপর, রান তাড়া করার কাজটা সহজ করে দেন ইংরেজ ওপেনার জেসন রয়। তাঁর দুর্ধর্ষ অর্ধশতরানের জোরে ৩৫ বল বাকি থাকতেই বিশাল জয় পেল ইংল্যান্ড। তিনিই হলেন ম্যাতের সেরা।
স্কোরবোর্ডে রান ছিল খুবই কম। এই স্বল্প পুঁজি নিয়ে লড়তে গেলে বাংলাদেশের দরকার ছিল দ্রুত কয়েকটি উইকেট। কিন্তু, দিনটা বাংলাদেশের ছিল না। এদিন তাদের শরীরী ভাষাতে কোথাও লড়ার তেজটুকুও দেখা যায়নি। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে অধিকাংশ সময় যে লড়াইটা দিয়েছিলেন সাকিবরা, এদিন তাঁদের খেলায় তা দেখা যায়নি। যেন আগের ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে যাওয়ার হতাশাই তাড়া করে বেরালো।
ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট পড়েছিল ৩৯ রানে। নাসুম আহমেদের বলে মইনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জস বাটলার। তিনি করলেন ১৮ বলে ১৮। এরপর এসেছিলেন ডেভিড মালান। রয় এবং মালানের জুটি ৪৮ বলে ৬১ রান জুড়লেন। দলের ১১২ রানের মাথায় আউট হলেন জেসন রয়। করলেন ৩৮ বলে ৬১ রান। মারলেন ৫টি চার ও ৩টি ছয়। তাঁকে ফেরালেন এদিনের ম্যাচেই প্রথম একাদশে আসা শরিফুল ইসলাম। বাংলাদেশেৎ বোলারদের মধ্যে আলাদা করে বলার মতো কেউই পারফর্ম করেননি।
এর আগে ইংল্যান্ড বোলারদের দাপটে, বিশেষ করে মইন আলির স্পিনজালে ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের ওভারের মধ্যেই দুই বাংলাদেশি ওপেনার লিটন দাস (৯) এবং নইমকে (৫) ফিরিয়ে দেন মইন আলি। ষষ্ঠ ওভারে ক্রিস ওকস ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসানকে (৪)। ওকস এদিন তাঁর ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়েছেন।
এরপর ইনিংস থিতু করার দিকে মন দিয়েছিলেন মুসফিকুর (৩০ বলে ২৯) এবং মাহমুদুল্লাহ (২৪ বলে ১৯)। দুজনে ধীরে হলেও, ৩১ রান যোগ করেছিলেন। এই একটি ছাড়া কোনও বড় জুটি গড়তে পারেননি বাংলাদেশিরা। একাদশ ওভারে প্রথমে মুসফিকুর এবং ১৫তম ওভারে বাংলাদেশি অধিনায়ক ফেরার পর, বড় রান ওঠার সম্ভাবনা একেবারেই শেষ হয়ে যায়। তবে ইনিংসের শেষের দিকে নাসুম আহমেদ ২টি ছয় মেরে ৯ বলে ঝোড়ো ১৯রান করে বাংলাদেশের স্কোরটা ১২০ পার করে দিয়েছিলেন।
ইংরেজ বোলারদের মধ্যে মইন আলি ২ উইকেট নেন ১৭ রান দিয়ে। ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন টাইমাল মিলস। লিভিংস্টোন ২ উইকেট নিয়েছেন ১৫ রান দিয়ে। প্রত্যাশা অনুযায়ী বল করতে পারেননি আদিল রশিদ। ৪ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি তিনি।