সাধের প্রতিমায় দুষ্কৃতি হামলা, তিরিশটি মূর্তির বিকৃতিতে মাথায় হাত শিল্পীদের

দুর্গা প্রতিমার কোন ক্ষতি না হলেও লক্ষী গণেশ সরস্বতী কার্তিক এই ধরনের ২২ টি প্রতিমার মুখ বিকৃতি করে দিয়েছে কে বা কারা। সোমবার রাত একটা পর্যন্ত শিল্পীরা প্রাণপণে কাজ করে সাজিয়ে তুলেছিলেন এই প্রতিমাগুলিকে। আর রাত কাটতেই এই পরিস্থিতিতে পড়তে হবে কেউ বুঝতেই পারেননি।   

Parna Sengupta | Published : Sep 27, 2022 6:56 AM IST

রাত পোহালেই মন্ডপে মন্ডপে পৌঁছবে দুর্গা প্রতিমা। প্রতিমা শিল্পীদের প্রস্তুতি শেষ প্রায়। এরই মধ্যে ঘটে গিয়েছে বড় বিপর্যয়। উত্তর ২৪ পরগণার বিলকান্দা দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগেন্দ্রনগর দীপাবলি মৃৎ শিল্পালয় এবছরের ত্রিশটি দুর্গা প্রতিমা তৈরীর বরাত পান। সেই মতো কাজ শুরু হয়। এই শিল্পালয়ের মৃৎশিল্পীরা সোমবার রাত একটা পর্যন্ত কাজ করে তৈরি করেন প্রাণের দুর্গা ঠাকুর। কথা ছিল রাত পোহালেই সেই প্রতিমা রওনা দেবে মন্ডপের দিকে। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল হতেই মাথায় হাত শিল্পীদের। 

দুর্গা প্রতিমার কোন ক্ষতি না হলেও লক্ষী গণেশ সরস্বতী কার্তিক এই ধরনের ২২ টি প্রতিমার মুখ বিকৃতি করে দিয়েছে কে বা কারা। সোমবার রাত একটা পর্যন্ত শিল্পীরা প্রাণপণে কাজ করে সাজিয়ে তুলেছিলেন এই প্রতিমাগুলিকে। আর রাত কাটতেই এই পরিস্থিতিতে পড়তে হবে কেউ বুঝতেই পারেননি।   আজ সকালে উঠে প্রতিমার মুখ বিকৃতি দেখে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়লেন মৃৎশিল্পালয়ের মালিক দীপ্তরেক ভর। এই বিকৃত হওয়া প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে যে অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি, তার প্রমাণ দিল তাঁর চোখের জল।  ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বললেন কীভাবে এই ক্ষতি সামলাবেন বুঝতে পারছেন না। পুজো নিজের সময়ে হবে, কিন্তু যে প্রতিমা তাঁদের বুধবার পৌঁছে দেওয়ার কথা, তার ব্যবস্থা কীভাবে হবে, সেকথা ভাবলেই মাথা কাজ করছে না তাঁর। 

এক শিল্পী তিনি জানালেন কিভাবে এই ক্ষতি পূরণ হবে তা জানা নেই। এই ধরনের ঘটনার পেছনে কে বা কারা যুক্ত সেটা আঁচ করতে পারছেন না তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ঘোলা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন ঘোলা থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। কিন্তু এই ক্ষতির খেসারত দিতে কীভাবে হবে শিল্পীদের, তা আপাতত অন্ধকারে। এক দিনের মধ্যে সব প্রতিমা যে মেরামত সম্ভব নয়, তা বাস্তব। তাহলে কীভাবে সঠিক সময়ে প্রতিমা পৌঁছবে মন্ডপে, সেই ভাবনায় শেষ হয়ে যাচ্ছেন শিল্পীরা।

মৃৎশিল্পালয়ের মালিক দীপ্তরেক ভর আরও জানান গত দুবছর ধরে ব্যবসা করছেন তিনি। কখনও এতবড় ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এবার কেন এমন হল, তা ভাবতেই পারছেন না। চোখে জল নিয়ে তাঁর অসহায়তা ফুটে উঠল ক্যামেরার সামনে। এতবড় ক্ষতিতে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর সম্মান, তাঁর রুজি রোজগার। সেই ধাক্কা কীভাবে সামলাবেন তিনি, ভেবে কূল পাচ্ছেন না তিনি। 

Read more Articles on
Share this article
click me!