আমাদের ক্লাবের ছোট সদস্যরা কোনও পেশাদার শিল্পীকে নিযুক্ত না করেই মন্ডপ সাজসজ্জার পুরো কাজটি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের মূর্তি আগের মতই একই সাজে তৈরি হয়েছে, আধুনিকতার সামান্য ছোঁয়ায় এবারও সেই ঐতিহ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। আমরাও চেষ্টা করেছি পুজোকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে।
উমার বাড়ি ফেরা মানে শুধুই কি আনন্দ উতসবেই সীমিত থাকা! নাকি উমার বাড়ি ফেরা-কে ঘিরে আনন্দ উৎসবের মধ্যে দিয়ে সামাজিক কোনও না কোনও দায়বদ্ধতা থেকে যায় পুজো কমিটি এবং ক্লাব গুলোর মধ্যে? অবশ্যই কোথাও গিয়ে এই দায়বদ্ধতা থাকে বলেই, বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপস্থাপনাগুলো শুধু মাত্র জাঁকজমকে আটকে না থেকে বৃহৎ সামাজিক প্রেক্ষাপটকে জনসাধারণের সামনে তুলে আনে। উত্তর কলকাতার অন্যতম সেরা পুজো গুলোর মধ্যে একটি গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনীর পুজো। প্রতিবারের মতই এবারও বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে তুলে ধরছেন আয়োজকেরা।
গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনীর কমিটি জানিয়েছেন, "এই বছর আমরা দুর্গাপূজার ১৭ তম বছর উদযাপন করতে যাচ্ছি, এবং এই বছর আমরা পুরো প্যান্ডেল সাজাতে কাগজের কাপ, বিভিন্ন রঙের কাপ এবং বিভিন্ন কারুকাজ ব্যবহার করে প্যান্ডেল তৈরি করতে যাচ্ছি। আমাদের ক্লাবের ছোট সদস্যরা কোনও পেশাদার শিল্পীকে নিযুক্ত না করেই মন্ডপ সাজসজ্জার পুরো কাজটি করার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমাদের মূর্তি আগের মতই একই সাজে তৈরি হয়েছে, আধুনিকতার সামান্য ছোঁয়ায় এবারও সেই ঐতিহ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। আমরাও চেষ্টা করেছি পুজোকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে।''
এছাড়া গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনীর কমিটি জানিয়েছে, তারা কোভিড প্রোটোকলগুলি কঠোরভাবে বজায় রাখার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখবেন প্যান্ডালে, যেহেতু আমরা এই ঐতিহ্যের উত্সবটি স্বাস্থ্যকর ভাবেই উদযাপন করতে চাইছি তাই প্যান্ডেলের সঙ্গে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক রাখা হয়েছে। আর ঠিক এই প্রস্তুস্তি নিয়েই 'চুমুক; ভাবনায় এই বছরের পুজো উৎযাপন করতে যাচ্ছে। থিম ভাবনায় রয়েছে বিদিশা রায় ও কমিটির ছোট সদস্যরা। প্রতিমা সজ্জায় মিলবে শিল্পী পল্টু পালের ছোঁয়া। গোয়াবাগান সিআইটি পার্ক থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই এই মন্ডপের পুজোর প্রতিমা দর্শণ করা যাবে। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে তাই পুজোর শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গোয়াবাগান শারদোৎসব সম্মিলনী কমিটি। তাই এই পুজো দেখতে আপনাকে আসতেই হবে এখানে।