ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র মূর্তি তৈর করাই শখ রায়গঞ্জের বীরনগরের বাসিন্দা মানস রায়ের। চাল দিয়ে আগেই তৈরি করেছেন রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, নেতাজি, গৌতম বুদ্ধ, অটল বিহাকী বাজপেয়ীর মতো ব্যক্তিত্বদের মুর্তি। এবার অতিক্ষুদ্র এক দুর্গা মূর্তি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন এই শিল্পী।
রায়গঞ্জের বীরনগরের মানস রায় পেশায় একজন চশমা বিক্রেতা। করণদিঘি এলাকায় একটি চশমার দোকান রয়েছে তাঁর। পেটের জন্য চশমা বিক্রি করতে হলেও নিজের শখের জন্য়ই ব্যবসার ফাঁকে তিনি তৈরি করেনন নানা ধরণের মূর্তি। চাল দিয়ে তৈরি মুর্তি প্রশংসার পাশাপাশি ইতিমধ্যে তাঁকে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। এবার দেবীর বোধনের আগেই মানসবাবু বানিয়ে ফেললেন দেবী দুর্গার এক অতি ক্ষুদ্র মুর্তি। খড় আর মাটি দিয়ে তৈরি এই দুর্গামুর্তির দৈর্ঘ্য মাত্র ৬ মিলিমিটার। আর দেবীর চার ছেলেমেয়ে লক্ষী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ উচ্চতায় ৫ মিলিমিটার। এত ছোট মুর্তি তৈরি করতে প্রয়োজন প্রচুর ধৈর্য্য আর সুক্ষ্ম কারগরি জ্ঞানের। যে দুটি গুণই রয়েছে মানস রায়ের মধ্যে। ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দুর্গামুর্তি হিসাবে মানসববাবুর কাজ গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্বীকৃতির জন্য পাঠানো হয়েছে।
ব্যবসার কাজের মাঝেই দিনে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় বার করে মানসবাবু তৈরি করেন এক একটি ছোট মূর্তি। এই কাজে মানসবাবুর সহযোগী তাঁর কন্যাও। গিনেস বুকে নাম উঠিয়ে রায়গঞ্জ শহরের নাম উজ্জ্বল করাই একমাত্র লক্ষ্য বীরনগরের মানস রায়ের।