শেষ ষষ্ঠ দফা, ধরা পড়ল কংগ্রেসের বড় বদল

  • শেষ হতে চলেছে গণতন্ত্রের সব থেকে বড় কার্নিভালের ষষ্ঠ দফা। 
  • গোটা দেশের নজর রইল গাঁধী পরিবারের দিকে।  

arka deb | Published : May 12, 2019 12:31 PM IST / Updated: May 12 2019, 06:07 PM IST

শেষ হতে চলেছে গণতন্ত্রের সব থেকে বড় কার্নিভালের ষষ্ঠ দফা। নিজেদেরকে প্রমাণ করার জন্য আর মাত্র একটিই সুযোগ পাবে যুযুধান সব শিবির।

এদিন মোট ৯৭৯ জন প্রতিনিধির ভাগ্য নির্ধারিত হল ষষ্ঠ দফায়। ৮ টি করে আসন রয়েছে বাংলায়, বিহারে, মধ্যপ্রদেশে, সাতটি  আসনে দিল্লিতে, এবং চারটি আসনে ঝাড়খণ্ডে ভোট হল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিকেল চারটে পর্যন্ত ভোট পড়ল ৫০.৭৭ শতাংশ। ভোটদাতার সংখ্যার বিচারে এগিয়ে রইল বাংলাই। বিকেল চারটে পর্যন্ত পড়ল  ৭০ শতাংশ ভোট।  উত্তরপ্রদেশে ভোটদানের হার এখনও পর্যন সর্বনিম্ন, ৪৩.২৪ শতাংশ।

এদিন গোটা দেশের নজর রইল গাঁধী পরিবারের দিকে।  সকাল সকাল তুঘলক লেনের বাড়ি থেকে বেড়িয়ে রাহুল গাঁধী ভোট দিতে যান ঔরঙ্গজেব লেনের ভোটদান কেন্দ্রে। সঙ্গে ছিলেন নিউ দিল্লির কংগ্রেস প্রার্থী অজয় মেকনও। ভোটগ্রহণকেন্দ্র থেকেই তোপ দাগলেন, 'এটি মোদীর ঘৃণা বনাম আমার ভালবাসার লড়াই'।

সারা দিন খবরে রইলেন প্রিয়ঙ্কাও। নির্বাচনে লড়ছেন না তো কী, দলের গুরুভার তাঁর কাধে। স্বামী রবার্ট বঢড়ার সঙ্গে গিয়ে ভোট দিলেন। সেলফি তুললেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এদিনই আমেঠিতে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে প্রচারে দেখা গেল প্রিয়ঙ্কার ছেলে রেহানকেও। রেহান এবার প্রথম ভোট দিচ্ছেন।

ভোট দিতে গেলেন সোনিয়া গাঁধীও। সঙ্গে দিল্লির প্রাক্তন‌ মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। তবে সর্বভারতীয় গণমাধ্যম যে ভাবে সারাদিন ঘিরে রাখল রাহুল প্রিয়ঙ্কাকে ততটা আগ্রহ দেখাল  না সোনিয়া গাঁধীকে নিয়ে। অথচ ২০১৪ সালেও কংগ্রেসের শেষ কথা ছিলেন তিনি।

সব দেখে শুনে রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানপ্রস্থ এখনই নয়, তবে ব্যাটনটা রাহুল প্রিয়ঙ্কার হাতে অনেকখানিই তুলে দিয়েছেন কংগ্রেস সুপ্রিমো। 

Share this article
click me!