সহজ পাঠ বিদ্যাসাগরের লেখা! দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে হেসে খুন সোশ্যাল মিডিয়া

  • এই পরম্পরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী অনেক দিন নাম লিখিয়েছেন।
  • সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জনসভায় বলেছিলেন, সীতা রামচন্দ্রের মা।
  • নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা ও মেল ব্যাবহারের কথা।

arka deb | Published : May 17, 2019 9:39 AM IST / Updated: May 17 2019, 04:43 PM IST

হায় ভারত! হায় রাজনীতি! হায় অশিক্ষা!

ভোট বড় বালাই, যেন তেন প্রকারেণ চাই জনগণেশের আশীর্বাদ। আর সেই ভোট পেতে হাতিয়ার মুখের বোলবোলা। ঠিক ভুলের তোয়াক্কা না করেই কথার ফুলকি ছোটান নেতানেত্রীরা।

এই পরম্পরায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক দিন নাম লিখিয়েছেন। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জনসভায় বলেছিলেন, সীতা রামচন্দ্রের মা। নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ১৯৮৮ সালে ডিজিটাল ক্যামেরা ও মেল ব্যবহারের কথা। এবার সেই তালিকাতেই সংযোজিত হল দিলীপ ঘোষের নাম। দিলীপ ঘোষ দাবি করলেন, সহজ পাঠ বিদ্যাসাগরের লেখা।

অমিত শাহের রোড শো-এর শেষে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা কাণ্ডে শেষ কয়েক দিন উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। প্রশাসনকে এক হাত নিয়েছে কমিশন। জারি হয়েছে ৩২৪ ধারা। বাদী বিবাদী সব পক্ষকেই কাটছাঁট করতে হয়েছে প্রচার পরিকল্পনা। শেষদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চারটি প্রচার অনুষ্ঠান করেছেন, নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গে সভা করেছেন দু'টি। বাদ যাননি দিলীপ ঘোষও।এক প্রচারসভায় মুখ খুলেই বিপদে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক। 

মূর্তি ভাঙার দায় তৃণমূলের উপর চাপিয়ে এদিন তিনি বলেন বলেন, ‘‘নিজেরা মূর্তি ভেঙে নিজেরাই কান্নাকাটি করছে তৃণমূল। যার জন্য বিদ্যাসাগর বিখ্যাত, সহজ পাঠ। আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়েছি। কিন্তু সিপিএম তা স্কুল থেকে সরানোর পর কি তৃণমূল তা আবার চালু করেছে?’’

প্রকৃতপ্রস্তাবে রবীন্দ্রনাথ প্রণীত সহজ পাঠ’১ম ও ২য় ভাগ প্রথম প্রকাশিত হয় শান্তিনিকেতনে ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে। বইয়ের প্রচ্ছদ ও অলংকরণের দায়িত্বে ছিলেন শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু। এর প্রায় ৩৯ বছর আগে বিদ্যাসাগর প্রয়াত হন।

দিলীপ ঘোষের মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই হাসির ফোয়ারা ছুটছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য প্রত্যাহার করেছেন।

Share this article
click me!