উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি আসন থেকেই আরও একবার লোকসভা নিক্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতী করছেন ইউপিএ চেয়ার পারসন তথা কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেখানকার জেলা-শাসকের কাছে দাখিল করা হলফনামায় সনিয়া জানিয়েছেন, স্থাবর-অস্থাবর নিলিয়ে বর্তমানে তাঁর সম্পত্তির মোট মূল্য ১১.৮২ কোটি টাকা। ২০০৯ সালে শেষ বার নির্বাচনে লড়ার সময় সনিয়া যে হলফামা দেন তাতে মোট সম্পত্তির মূল্য বলা হয়েছিল ৯.২৮ কোটি টাকার। অর্থাত গত পাঁচ বছরে আড়াই কোটি টাকার বেশি সম্পদ বৃদ্ধি হয়েছে তাঁর।
রায়বেরিলির জেলা-শাসকের কাছে দাখিল করা হলফনামায় সনিয়া জানিয়েছেন, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য ৪.২৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে হাতে নগদ রয়েছে ৬০,০০০ টাকার। ব্য়াঙ্কে রাখা নগদের পরিমাণ ১৬.৬ লক্ষ টাকা। এছাড়া শেয়ার বাজার ও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন যথাক্রমে ১.৯ লক্ষ ও ২৪ লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে এনএসএস বিনিয়োগ, পোস্টাল সেভিংস ও বিমা রয়েছে ৭২.২৫ লক্ষ টাকার। করমুক্ত বন্ড রয়েছে ২৮.৫৩ কোটি টাকার।
মজার ব্যাপার হলফনামায় সনিয়া জানিয়েছেন তিনি তাঁর পুত্র তথা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ৫ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছেন। ২০১৪ সালে মায়ের কাছে রাহুলের ঋণ ছিল ৯ লক্ষ টাকার। অর্থাত ৫ বছরে ৪ লক্ষ টাকা শোধ করেছেন রাহুল।
সনিয়া জানিয়েছেন তাঁর কোনও গাড়ি নেই। তবে ১.২ কেজি সোনা ও ৮৮ কেজি রুপো রয়েছে। যার মোট মূল্য ৫৯.৯৭ লক্ষ টাকা।
২০১৪ সালে দাখিল করা হলফনামায় সনিয়ার মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২.৮১ কোটি টাকা। অর্থাত গত ৫ বছরে তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ১.৪৮ কোটি টাকা।
এর পাশাপাশি স্থাবর সম্পত্তি অর্থাত জমি-বাড়ি মিলিয়ে সনিয়ার ৭.৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। দিল্লির ডেরামান্ডি ও সুলতানপুরে ৭.২৯ কোটি টাকা মূল্যের কৃষি-জমির মালিক তিনি। এছাড়া ইতালি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ২৩.২ লক্ষ টাকার স্থাবর সম্পত্তি আছে সনিয়ার।
ইউপিএ চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে একটিই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। এই মামলাটি করেছিলেন বিজেপির সাংসদ সুব্রমনিয়ন স্বামী।