ব্যারাকপুরের লোকসভা, ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচন শেষ। তবুও মদন মিত্রের সঙ্গে অর্জুন সিংহের দ্বৈরথ শেষ হচ্ছে না। রবিবার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল ভাটপাড়ার একাংশ। এ দিনও এলাকার পরিস্থিতি ছিল থমথমে। প্রতিবাদে হয় রেল অবরোধ, বিক্ষিপ্ত গোলমাল।
রবিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজেপি এবং অর্জুন সিংহের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন ভাটপাড়া উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। এ দিন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ঘটনার অভিযোগ জানিয়ে এলেন মদন। তাঁর অভিযোগ, এখনও এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে অর্জুন সিংহ এবং তাঁর দলবল। মদনের হুমকি, যদি সোমবারের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে এবং তিনি যদি ভাটপাড়ায় ঢুকতে না পারেন, তাহলে ভাটপাড়া বিধানসভার সীমানায় তিনি সত্যাগ্রহে বসবেন। একই সঙ্গে ভাটপাড়ার পাঁচটি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মদন। তাঁর অভিযোগ, ভোটের আগের দিন রাতভর কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মদ, মাংস সরববরাহ করেছেন অর্জন। ক্ষুব্ধ মদনের কথায়, "অর্জুনের উঞ্ছবৃত্তি করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর দিল্লির নির্বাচন কমিশনও চোখে কালো কাপড় বেঁধে ছিল।" মদন প্রশ্ন তুলেছেন, বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে যেখানে বলেছিলেন যে ভোট দেওয়া ছাড়া অর্জুন বাইরে বেরোতে পারবেন না, সেখানে কীভাবে এলাকায় ঘুরে তাণ্ডব চালালেন বিজেপি নেতা?
পাল্টা অর্জুনের অভিযোগ, বহিরাগতদের নিয়ে এসে এলাকায় ঝামেলা পাকিয়েছেন মদন মিত্রই। পুলিশ উল্টে শুধু বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করছে বলেও সরব হয়েছেন অর্জুন।
রবিবার ভোট চলাকালীন একাধিকবার বুথে ঢোকা নিয়ে মদনকে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমন কী, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ারও ঘটনা ঘটে। বিজেপি সমর্থকরা তাঁকে ঘেরাও করে। এই নিয়ে রবিবার উপনির্বাচনে প্রবল উত্তেজনা ছড়ায় ভাটপাড়া এলাকায়। মদন অবশ্য এর আগে দাবি করেছিলেন, অর্জুন পুত্র পবনের বিরুদ্ধে হেসেখেলে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জিতবেন তিনি। এবার সেই অর্জুনকে বাগে আনতে সত্যাগ্রহের হুমকি দিতে হল তাঁকে।