লোকসভা নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে জরুরি বৈঠক ডাকলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেল চারটের সময় কালীঘাটে মমতার বাড়িতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই বৈঠকে দলের জয়ী এবং পরাজিত সব প্রার্থীদেরই হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দলের সব জেলা সভাপতি এবং প্রথম সারির নেতাদেরও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। কেন এমন বিপর্যয় ঘটল, দলীয় নেতাদের থেকে সেই কারণ জানতে চাইতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। পাশাপাশি বিজেপি-র উত্থানে মুষড়ে না পড়ে দলীয় নেতাদের চাঙ্গা করারও বার্তা দিতে পারেন তিনি।
এবারের নির্বাচনে একধাক্কায় ৩৪ থেকে কমে তৃণমূলের আসন সংখ্যা হয়েছে ২২। শাসক দলের চিন্তা বাড়িয়ে রাজ্যে ১৮ আসন দখল করেছে বিজেপি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা যে দ্রুত ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে চাইবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ভোটের ফলে স্পষ্ট, উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে সবথেকে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল। ওই সমস্ত এলাকায় কার্যত একটি আসনেও জিততে পারেনি শাসক দল। বিজেপি-র ঝড়ে হারতে হয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, দীনেশ ত্রিবেদী, রত্না দে নাগের মতো দলের প্রবীণ সাংসদদের। তৃণমূলের উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্যের ১২৯টি বিধানসভায় এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ব্যারাকপুর, বিষ্ণুপুরের মতো কেন্দ্রে প্রেস্টিজ ফাইটেও হারতে হয়েছে দলকে। এই সমস্ত দিক নিয়েই পর্যালোচনা করা হবে বৈঠকে। দলের মধ্যে অন্তর্ঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শনিবারের বৈঠক থেকেই তাই যে এলাকাগুলিতে ফল খারাপ হয়েছে, সেখানকার দলীয় পদাধিকারীদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।
এছাড়াও দলকে ধরে রাখা এখন বড় চ্যালেঞ্জ মমতার কাছে। তিনি ভালভাবেই জানেন, এই সুযোগে তৃণমূলকে ভাঙার চেষ্টার কসুর করবে না বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা নিয়েও দলের নেতা, বিধায়ক এবং সাংসদদের বার্তা দিতে পারেন তৃণমূল নেত্রী।