ছয় দফা শেষ হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র বাকি ১টা দফা। কিন্তু দলগুলির মধ্যে এখনও থামছে না কাদা ছোড়াছুড়ি পর্ব। আলাওয়ার গণধর্ষণকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদীকে ও মায়াবতী বাক্যবাণে বিঁধেই চলেছেন। সেই আক্রমণ ব্যক্তিগত পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে।
ছয় দফা শেষ হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র বাকি ১টা দফা। কিন্তু দলগুলির মধ্যে এখনও থামছে না কাদা ছোড়াছুড়ি পর্ব। আলাওয়ার গণধর্ষণকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদীকে ও মায়াবতী বাক্যবাণে বিঁধেই চলেছেন। সেই আক্রমণ ব্যক্তিগত পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে।
রাজস্থানের আলওয়ার দলিত মহিলার গণধর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে মোদীকে আক্রমণ করে মায়াবতী বলেন, আলওয়ার গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে প্রথমে মোদী চুপ ছিলেন। এখন বিজেপির সুবিধার কথা মাথায় রেখে, সেটা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছেন। খুবই লজ্জ্বাজনক।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি মায়াবতী। ব্যক্তিগত পর্যায় গিয়ে মোদীকে একহাত নিয়ে মায়াবতী বলেন, যিনি নিজে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য স্ত্রীকে ছেড়েছেন, তিনি আর কীভাবে অন্যও কোনও মহিলাকে সম্মান করবেন।
এই ঘটনারই রেশ টেনে সোমবার মায়াবতী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই বিজেপির অন্যান্য মহিলা সদস্যকেও প্রসঙ্গে টেনে আনেন। তিনি এদিন বলেন, বিজেপি নেত্রীরা স্বামীদের মোদীর আশপাশে দেখলে ভয় পান। তাঁরা ভয় পান, পাছে মোদী নিজের মতো তাঁদেরওব বিবাহবিচ্ছেদ করিয়ে দেন।
মোদীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলায়, উলটো দিক থেকে বিজেপিও মায়াবতীর উদ্দেশে বলে, কোনও এক ব্যক্তিগত পরিবার নয়। পুরো দেশটাকেই নিজের পরিবার বানিয়েছেন মোদী।
প্রসঙ্গত, ২৬ এপ্রিল এক মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রাজস্থানে কয়েক মাস আগেই ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। সেই সময়ে মায়াবতী কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল। এই প্রসঙ্গেই মোদী মায়াবতীকে নিশানা করে বলেন, গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে চিন্তিত হলে মায়াবতী কংগ্রেসে সমর্থন করতেন না। এরপরেই মায়াবতী আক্রমন করা শুরু করেন মোদীকে। গেরুয়া শিবিরে মায়াবতীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা চলছে।