আবেগের জোয়ারে ভাসলেন মোদী, বারাণসী থেকে হুল ফোটালেন নিন্দুকদের
অবশেষে বারাণসী পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী।
শপথের আগে ধন্যবাদ দিতে চাইলেন বারাণসীর মানুষকে।
শুধু কাশী নয়, মোদী জোয়ারে ভেসে গেল গোটা উত্তরপ্রদেশ।
arka deb | Published : May 27, 2019 8:17 AM IST
অবশেষে বারাণসী পৌঁছলেন নরেন্দ্র মোদী। শপথের আগে ধন্যবাদ দিতে চাইলেন বারাণসীর মানুষকে। শুধু কাশী নয়, মোদী জোয়ারে ভেসে গেল গোটা উত্তরপ্রদেশ।
বিপুল জনাদেশে ফের মসনদে আরোহন করেছেন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার। মোদীরপ নিজের কেন্দ্র থেকে এসেছে ৪ লক্ষ ৮১ হাজার ভোটে জয়। সেই জয়ের কাণ্ডারী আমাপর বারাণসীবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না নরেন্দ্র মোদা।
দেখে নেওয়া যাক কী বললেন তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপনের এই অনুষ্ঠানে-
এই ভোটে সকল অংশগ্রহণকারীকে আমি অভিনন্দন জানাই।
ভোটের কাজে মিডিয়ার লোকজনকে অভিনন্দন জানাই।
এই ভোটের কাজে প্রথম এসেই আমি ভোটকর্মীদের বলেছি, নরেন্দ্র মোদীর নাম ভোট চাওয়া হয়েছে, কিন্তু লড়বে প্রতি ঘরের, প্রতি গলির নরেন্দ্র মোদী। আপনারা তা করে দেখিয়েছেন।
এমন কেউ নেই যে বলতে পারে আমার দল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। শুধু কাশী নয় গোটা উত্তরপ্রদেশ অনেক অনেক অভিনন্দনের অধিকারী। উত্তরপ্রদেশ গণতন্ত্রের প্রতি নিষ্ঠা দেখিয়ে দেশকে নতুন দিশা দিয়েছে।
২০১৪, ২০১৭, ২০১৯ এই হ্যাট্রিক ছোট নয়। দেশকে অনুপ্রেরণা দেবে উত্তরপ্রদেশের বিকাশ। তিনটি নির্বাচনের পরেও যদি রাজনৈতিক বোদ্ধারা যদি না বোঝেন, তাহলে বুঝতে হবে তাদের বিচার নষ্ট হয়ে গেছে, তাঁরা একুশ শতকের যোগ্য নন। জমির সঙ্গে জড়িত লোকের চিন্তা এর চেয়ে বেশি জাগ্রত।
রাজনীতির রাজনীতির বোদ্ধাদের বুঝতে হবে পাটিগণিতের আগে রসায়ন।
দেশে সমাজের যে আদর্শ ও সংকল্পের যে সংকল্প তা অঙ্ককে পরাজিত করেছে।
আমরা যেমন তা লুকোতে মিথ্যের সাহায্য নিয়েছে শক্তিমানরা। ধারণা নষ্ট করেছে যাতে লোকে ভয় পায়। এমন চলেছে ৭০ বছর। কিন্তু পণ্ডিতদের বুঝতে হবে যে যতই কুৎসা করুক, তাকে পরাজিত করবে পরিশ্রম ও পারদর্শিতা। আমাদের পারদর্শিতা ও পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই।
সরকার ও সংগঠনের সমঝোতা দেশের অগ্রগতিতে মূল চাবিকাঠি। সরকার নীতি বানায়, আর সংগঠন রণনীতি বানায়। এই দুইয়ের যোগফলেই দেশ চলে। আমরা তারই লাভ পাচ্ছি আজ। সরকারের কাজ কর্ম করা। এই কর্ম করবে কার্যকর্তা। আপনারা যে করিশ্মা দেখেছেন তা কার্য ও কার্যকর্তার যোগফল।
আমাদেরর কার্যকর্তারা খুন হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, ত্রিপুরায়, বাংলায় হত্যালীলা চলছে। কাশ্মীরে ও কেরলে আমরা মৃত্যুর মুখে। এত বড় হিংসাকে মান্যতা দেওয়ার জন্যে গল্প বানানো হয়েছে
বাবাসাহেব আম্বেদকর, গান্ধীজী সত্যের জন্যে জীবন দিয়েছেন, আর ভারতে কিছু লোক রাদনৈতিক মিথ্যের জন্যে প্রাণ নিচ্ছে।
আমরা বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা। আমাদের মধ্যে অস্পৃশ্যতা নেই। আমাদের মনে রয়েছে সব কা সাথ সব কা বিকাশ মন্ত্র।
যে যাই বলুক, ভারতের রাজনীতিতে আমরা লোকতন্ত্র শিরায় শিরায় সংবাহিত করেছি।
আমরা ক্ষমতায় এলে বিপক্ষকে জায়গা দিই। কেননা গণতন্ত্র আমাদের স্পিরিট।
ত্রিপুরায় কোনও বিপক্ষ ছিল না যখন কমিউনিস্টরা ছিল। আজ ত্রিপুরায় বিপক্ষের কথা শোনা হচ্ছে।
ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির ওপরে উঠে আমরা কাজ করতে চেয়েছি। এই কারণেই আমরা সাধারণ মানুষের জন্যে ১০ শতাংশ।
ভারতের মহান ঐতিহ্যকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমরা চাই।
অযোধ্যা মেলা কারা আটকেছিল, কুম্ভমেলাকে নাগাসাধুদের মেলা বলা হতো। আমরা সেই মেলার ঐতিহ্যকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছি। আবার বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্যেও আমরা কাজ করেছি।
আমাদের দেশে পুজোপাঠও থাকবে, আবার ডিজিটাল সংস্কৃতিও থাকবে।
অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আমরা প্রথম ছয়ে চলে এসেছি।
ভারতের প্রতিটি জায়গায় আমাদের ভোটের শতকরা বাড়ছে।
ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর নাগরিকরা নিজেদের কর্তব্য পালন করলে আর কিছু দরকার নেই। যা কিছু সরকারি তা আসলে নাগরিকের।
মুখে ভারতমাতা কি জয়, আর পান খেয়ে যেখানে সেখানে থুতু, এ কোন মাতা! দেশ আপনার। স্বাধীনতার আন্দোলনের মতোই প্রাণশক্তি নিয়ে দেশকে আগে নিয়ে যাই, কাশী আমাদের পথ দেখাক।