অন্তত তিনশো আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরছেনই. শুক্রবার দলীয় সভাপতিকে পাশে বসিয়ে এই ঘোষণা করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিরোধীরা অবশ্য বলছেন অন্য কথা. নিজে যতই আত্মবিশ্বাসী হোন না কেন, বরাবরের মহাদেবভক্ত মোদী যে কোনও ঝুঁকি নিতে চান না, তা স্পষ্ট। রবিবার শেষ দফার ভোটের আগে তাই শনিবার থেকে দু' দিনের সফরে তিনি কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ মন্দিরে গেলেন।
এ দিন সকালেই কেদারনাথে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর কেদার-বদ্রী যাত্রা অবশ্য বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ঠিক করা ছিল. রবিবার বদ্রীনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার কথা তাঁর।
এই সফর নিয়েও নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে। কারণ প্রচারপর্ব শেষ হলেও এখনও আদর্শ আচরণবিধি চালু রয়েছে। কিন্তু যেহেতু এটি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি সফর, তাই তাতে আপত্তি জানায়নি নির্বাচন কমিশন। শুধু প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে বলা হয়েছে, সফর চলাকালীন যাতে আদর্শ আচরণবিধি কোনওভাবে ভঙ্গ না হয়। নিন্দুকরা অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বলছেন, প্রচার শেষ হওয়ার পরেও কেদার-বদ্রী সফরে গিয়ে পরোক্ষে কিছুটা প্রচারই সেরে নেবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফর ঘিরে অবশ্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা কেদারনাথ মন্দির চত্বর। পুলিশ, এসপিজি মিলিয়ে প্রায় ছ'শো নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।
তবে কেদারনাথ মন্দিরের সঙ্গে বরাবরই অন্যরকম টান রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনও প্রায় প্রতিবছরই তিনি এই মন্দিরে পুজো দিতে যেতেন। এমন কী তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি কেদারনাথ মন্দির খোলা এবং বন্ধ হওয়ার সময় দু' বারই বার্ষিক পুজোয় অংশ নিয়েছেন। ২০১৩ সালে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত কেদারনাথ মন্দিরের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পেও কড়া নজর রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন দেখার আগামী তেইশ তারিখ দেবাদিদেব তাঁর কতটা সহায় হন।