আদালত ছাড়লেও মোদীকে আটকালো নির্বাচন কমিশন! ভোট শেষ না হলে মুক্তি নেই প্রধানমন্ত্রীর

লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের উপর তৈরি চলচ্চিত্র 'পিএম নরেন্দ্র মোদী'-র মুক্তি পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে এই চলচ্চিত্র ভোটের সময় রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোটপর্ব। আর সেই একই দিনে মুক্তি পাওয় কথা ছিল ছবিটি।

 

amartya lahiri | Published : Apr 20, 2019 8:40 AM IST / Updated: Apr 20 2019, 02:56 PM IST

লোকসভা নির্বাচন ২০১৯ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জীবনের উপর তৈরি চলচ্চিত্র 'পিএম নরেন্দ্র মোদী'-র মুক্তি পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে এই চলচ্চিত্র ভোটের সময় রাজনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভোটপর্ব। আর সেই একই দিনে মুক্তি পাওয় কথা ছিল ছবিটি।

বিরোধীরা আগেই অভিযোগ করেছিল এই ছবি মোদীর আত্ম-প্রচার ছাড়া কিছুই নয়। এবার ভারতের নির্বাচন কমিশন সাফ জানালো এই ধরণের বায়োপিক বা বায়োগ্রাফি, বকলমে কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিত্বের উদ্দেশ্যকে তুলে ধরে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্বচনের সময় রাজনৈতিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলে। এই ধরণের বায়োপিকের প্রদর্শন আদর্শ নির্বাচন বিধি ভঙ্গের সামিল। এই বিষয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের হলে তা দেখার জন্য় হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের কোনও বিচারকের নেতৃত্বে একটি প্যানেল গঠন করছে কমিশন।

মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেয়েছিল এই ছবিটি। এক কংগ্রেস নেতা  ছবি-মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আবেদন করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, এই ছবি মুক্তি পেলে রাজনৈতিক ভারসাম্য বিজেপির দিকে ঢলে যেতে পারে। লোকসভা ভোটের সময়ই ছবিটির মুক্তি আদর্শ নির্বাচন বিধির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তারা আরও দাবি করে ছবিটির কোনও শৈল্পিক উদ্দেশ্য নেই, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বানানো।

শীর্ষ আদালত অবশ্য আবেদনটিকে গুরুত্ব দেয়নি। তারা নির্বাচন কমিশনের কোর্টেই বল ঠেলে দিয়েছিল। তারপর থেকে ছর নির্মাতারা খুবই আশান্বিত ছিলেন। কিন্তু, এদিন কার্যত বিরোধীদের অভিযোগকেই মেনে নেয় নির্বাচন কমিশন।

Share this article
click me!