সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছেন। আর বৃহস্পতিবারই নৈহাটিতে গিয়ে মমতা তাঁকে 'ছোট গদ্দার' বলে আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে দল বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন।
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁর জবাব দিলেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু। দিল্লি থেকে ফিরে বীজপুরের বিধায়ক বললেন, "দল আমায় সাসপেন্ড করার পরে আমি বিজেপি-তে গিয়েছি। আর উনি যে ভাষায় আমায় আক্রমণ করছেন, সেটা ওনার রুচির পরিচয়। এক সময়ে উনি আমার নেত্রী ছিলেন, উনি আমায় আক্রমণ করলেও সেটা আমার কাছে আশীর্বাদ।" এর পরেই মমতাকে সতর্ক করে শুভ্রাংশুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে সংশোধন না করলে তার ফল ভুগতে হবে তৃণমূলকে। তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষ দেখছেন উনি কী বলছেন, কীভাবে চলছেন। তার প্রতিফলনও ভোটবাক্সে পড়ছে। আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ, উনি নিজেকে না শোধরালে আগামী দিনে তার ফল ভুগতে হবে তৃণমূলকে। এখন বলছেন বিজেপি বিধানসভায় শূন্য পাবে, এর আগে বলেছিলেন লোকসভায় বিজেপি শূন্য পাবে।"
মমতার সামনে জয় শ্রীরাম বলার জন্য জগদ্দলে দশজনকে পুলিশ আটক করেছিল। সেই পদক্ষেপেরও সমালোচনা করছেন শুভ্রাংশু। আগামী ১৪ জুন মমতার কাঁচরাপাড়ায় যাওয়ার কথা। তাতে অবশ্য বিচলিত নন বীজপুরের বিধায়ক। তাঁর কথায়, "গণতন্ত্রে যে কোনও মানুষ যে কোনও জায়গায় আসতে পারেন। তার উপর উনি মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যাঁরা কাঁচড়া, তাঁদেরকেই মানুষ ভোট দিচ্ছে।"
তৃণমূল সম্পর্কে কিছু বলতে না চাইলেও শুভ্রাংশু বলেন, "বীজপুরে তো আমি মাত্র আট হাজার ভোটে হেরেছি। কিন্তু সারা বাংলায় ষোলজন মন্ত্রী হেরেছেন। ১২৬টি বিধানসভায় দল হেরেছে। মানুষ জানতে চান তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল। কারণ, আমি যে দলে ছিলাম, সেখানে যাঁরা হেরে যায়, তাঁদেরই উন্নতি হয়।"
শুভ্রাংশুর অবশ্য দাবি, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরে বহু মানুষের সমর্থন পাচ্ছেন। তাঁর কথায়, "যখন অসুস্থ হয়েছিলাম, তখন মানুষের এই ভালবাসা পেয়েছিলাম। এখন যেন তার থেকেও বেশি ভালবাসা পাচ্ছি। এতে আমি আপ্লুত।"