দাবি সামান্য। প্রাপ্যটুকু বুঝিয়ে দিন। ডিএ প্রসঙ্গে এই দাবিকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুকুরেরে ঘেউ ঘেউ বলেছিলেন। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। ১৫ শতাংশ ডিএ বাড়িয়েও এতটুকুও বরফও গলাতে পারেননি মমতা। তার প্রমাণ দিল পোস্টাল ব্যালট। ৪১ টির মধ্যে ৩৯ টি কেন্দ্রে মমতার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন তাঁরই বেতনভুক কর্মীরা।
চোখ বোলানো যাক কয়েকটা জেলার সরকারি কর্মচারীদের ভোটে। আলিপুরদুয়ারে পোস্টাল ব্যালটে বিজেপি ভোট পেয়েছে ৩০১৬টি, তৃণমূল ভোট পেয়েছে ৯৩০টি। আরামবাগে বিজেপির ভোট এসেছে ১০৩২টি , তৃণমূল ভোট পেয়েছে ৩১৬টি। বিরাট ভোটের পার্থক্য পুরুলিয়াতেও । সেখানে বিজেপি ভোট পেয়েছে ২০৯১টি, তৃণমূল ৫৯০টি। ভোটপার্থক্য চোখে পড়ার মতো বিষ্ণুপুরেও। সেখানে বিজেপি পেয়েছে ২১১৫ টি ভোট আর তৃণমূল পেয়েছে ৪১২টি ভোট।
অতীতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এর নিন্দা করেছিলেন। বলেছিলেন। ধিক্কার দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। টনক নড়েনি মমতার। একে একে বিপক্ষে গিয়েছে সরকারী কর্মচারীদের সংগঠনগুলি। একসময় মুখ খুলেছে শাসক দলেরই সংগঠন। আর শেষমেশ এই ফল। আশা করা যায়, সরকারি কর্মীদের এই বিষ ছোবল তাঁদের নজর এড়াবে না।