বিজেপিতে লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল, কেষ্টর বীরভূমে তৃণমূলকে ধাক্কা মুকুলের

Published : May 29, 2019, 04:54 PM ISTUpdated : May 29, 2019, 06:18 PM IST
বিজেপিতে লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল, কেষ্টর বীরভূমে তৃণমূলকে ধাক্কা মুকুলের

সংক্ষিপ্ত

বীরভূমে তৃণমূলে ভাঙন বিজেপি-তে গেলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলামের সঙ্গে বিজেপি-তে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা

পর পর দু' দিন তৃণমূলে ভাঙন ধরালো বিজেপি। এবার তৃণমূলের গড় এবং অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমে থাবা বসালো পদ্ম শিবির। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিজেপি-তে যোগ দিলেন লাভপুরের তৃণমূল বিধায়ক মণিরুল ইসলাম। একা মণিরুল নন, বীরভূমের নানুরেরই প্রাক্তন বিধায়ক এবং জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি গদাধর হাজরাও এ দিন বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুকুল বলেন, এবার সংখ্যালঘু সাংসদ, বিধায়করাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে  যোগ দেবেন।

এ দিন দুপুর থেকেই বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়কের বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার খবরে জল্পনা ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত শাসক দলকে স্বস্তি দিয়ে অবশ্য শুধু মণিরুল ইসলামই এ দিন বিজেপি-তে যোগদান করেছেন। তবে বীরভূমে মুকুল যে সাংগঠনিকভাবে তৃণমূলকে ধাক্কা দিতে চাইছেন তা স্পষ্ট। নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা ছাড়াও বীরভূম যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ আসিফ ইকবালও এ দিন বিজেপি-তে যোগ দেন। বীরভূমের আর এক তৃণমূল নেতা নিমাই দাসও নাম লিখিয়েছেন পদ্ম শিবিরে। 


মঙ্গলবারই বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় ছাড়াও হেমতাবাদ এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক বিজেপি-তে যোগ দেন। হেমতাবাদ কেন্দ্রটি সিপিএমের দখলে থাকলেও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও হালিশহর, কাঁচরাপাড়া, নৈহাটি-র অধিকাংশ কাউন্সিলররাই মঙ্গলবার দিল্লিতে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন। বিজেপি-র অবশ্য দাবি, মঙ্গলবার যে যোগদান হয়েছিল, এ দিনের যোগদান তারই সম্প্রসারণ। ভবিষ্যতে আরও কয়েক দফায় তৃণমূলের বিধায়করা বিজেপি যোগ দেবেন। 

মুকুল রায়ে এ দিন বলেন, "বীরভূম এবং বোলপুর লোকসভায় আমরা সাংগঠনিক মোকাবিলা করতে পারিনি বলে হেরে গিয়েছি। ওখানে ভোট চুরি করে আমাদের হারানো হয়েছে। এর পর দেখবেন বাংলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধায়ক এবং সাংসদরাও বিজেপি-তে যোগদান করছেন।"

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর অহঙ্কারের কারণেই তণমূলের মধ্যে সবার দমবন্ধ হয়ে আসছে, কেউ কাজ করতে পারছেন না। মোদীজির নেতৃত্বে বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে, নতুন করে উন্নয়ন হবে। গোটা বাংলাতেই এখন এটাই আওয়াজ উঠছে।"

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন অভিযোগ করেছেন, বিজেপি-র মিথ্যে প্রচারের কারণেই তিনি বিজেপি-র শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন না। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার বলি মোট ৫৪ জনকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের প্রতিবাদেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় কোনও রাজনৈতিক খুন হয়নি। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার।

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র অবশ্য দাবি, বাংলায় বিজেপি-র নিহত কর্মী, সমর্থকদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। এতে মমতার আপত্তি করার কিছু থাকতে পারে না। কৈলাসের অভিযোগ, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে না আসার অজুহাত খুঁজছিলেন মমতা। 

PREV
click me!

Recommended Stories

'বাংলায় বাবরি মসজিদ হতে দেব না' উলুবেড়িয়া থেকে হুমায়ুনকে চরম বার্তা শুভেন্দুর
শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে জমি দখলের ৩০০০ অভিযোগ! আদালতে রিপোর্ট দিল CBI