শেহনাজ গিলের ভাই এল বিগ বসের বাড়িতে- এই সিজন যত এগোচ্ছে, কঠিন হচ্ছে পরিস্থিতি। এখন প্রত্যেক দিন কঠিন কঠিন চ্যালেঞ্জ বিগ বসের বাড়িতে। কঠিন হচ্ছে টিকে থেকে লড়াই করা। প্রতিযোগীদের এই মুহূর্তে প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস এবং সমর্থন। ফ্যানেরা সমর্থন যোগায় প্রতিনিয়ত কিন্তু আত্মীয় কিংবা কাছের বন্ধু প্রতিযোগীদের পশে এসে দাঁড়ালে বেড়ে যায় মনের জোর। বিগ বস যারা দেখেন তারা জানেন এমন হয় প্রায় প্রত্যেক সিজনেই। হঠাৎ করেই বিগ বসের বাড়িতে চলে আসেন অতিথি, কখনও অন্য সেলিব্রিটি কখনও প্রতিযোগীদের আপনজন। প্রতিযোগীদের কাছের মানুষ চলে আসেন অকস্মাৎ। ঘটে যায় নানা রকম সুখকর ঘটনা। শেষ প্রমোতে আমরা দেখলাম যে শেহনাজ গিলের ভাই এসেছে বিগ বসের বাড়িতে। জন্মদিনের কেক সঙ্গে নিয়ে ভাই এর উপস্থিতি খুশি করে দিয়েছে শেহনাজকে। প্রোমোতে দেখা গিয়েছে শেহনাজ আনন্দে জড়িয়ে ধরেছেন ভাইকে। ভাই কিছু মূল্যবান টিপস দিয়ে গেছে্ন দিদিকে। রেশমির থেকে দূরে থাকতে বলেছেন কারণ রেশমি নাকি বলেছিলেন সিদ্ধার্থ ছাড়া শেহনাজ মূল্যহীন। এরপর ্তিনি সিদ্ধার্থ আর শেহনাজ দুজনকেই সাবধান করেছে্ন পরস ছাবড়া এবং মহিরা শর্মা সম্পর্কে। পরস আর মাহিরা দুজনেই চান সিদ্ধার্থ আর শেহনাজের সম্পর্ক ভেঙ্গে যাক। তাই সাবধান!
গত এপিসোডে কাশ্মীরা শাহ, দেবলীন ভট্টাচার্য এবং মাহিরার ভাই এই বিগ বসের বাড়িতে এসেছিলেন ঘুরতে। খেলার ছক ও কৌশল মাথায় রেখে কাশ্মীরা যথেষ্ট উত্যক্ত করেছে্ন বিশালকে। এছাড়া শেহনাজকেও মুখের ওপরে অন্যান্য প্রতিযোগীদের সামনেই ভন্ড বলেছে। আগামী এপিসোডে আমরা দেখব শেহনাজের ভাই, বিশালের ভাই, বিকাশ গুপ্তা ও শেফালি জরিওয়ালা প্রবেশ করবেন বিগ বসের বাড়িতে।
বিগ বস সিজন ১৩-এর মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় এই শো শেষের দিকে যত যাবে, তত নাটকীয়তা বাড়বে। প্রথমে ১২ জানুয়ারি ফাইনাল হওয়ার কথা ছিল এখন না কি তা পিছিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি হওয়ার কথা। এই শোয়ের সঞ্চালক সলমন খানের ডেট নিয়েও সমস্যা হয়েছিল। শোনা যাচ্ছিল ডেট নিয়ে সমস্যা না মিটলে নতুন বছর থেকেই বিগ বস সঞ্চালনা করবেন ফারহা খান। ২০১১ সালের চার নম্বর সিজন থেকে বিগ বস শো সঞ্চালনা করছেন সলমান খান। প্রায় এক দশক ধরেই এই শো-এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন সলমন।