বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় তুলেছিল। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে থাকা একজন সেলিব্রিটির উপর এ ধরনের ঘটনা সকলকেই অবাক করেছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি সেই দিনের ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
জানুয়ারি ১৬ তারিখে সাইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। নিজ বাসভবনে থাকা অবস্থায় মধ্যরাতে এই হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনার পরপরই তাকে অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অটোচালক ভজন সিং রানা তাকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছে দেন। সময়মত চিকিৎসা পাওয়ায় সাইফ প্রাণে বেঁচে যান।
25
প্রায় ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জানুয়ারি ২১ তারিখে সাইফ লীলাবতী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। বর্তমানে তিনি বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে সাইফ একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নেন। সেই দিনের কথা স্মরণ করে তিনি भावुक হয়ে পড়েন। পুত্র তৈমুরের কথা মনে পড়ে।
35
হামলার পর তার পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন সাইফ। করিনা উদ্বিগ্ন হয়ে সবাইকে ফোন করতে থাকেন, কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। তখন করিনা তাকে সাহস যোগান। এরই মধ্যে তৈমুর এসে 'বাবা, তুমি কি মারা যাবে?' বলে জিজ্ঞেস করে। সাইফ তাকে আশ্বস্ত করেন।
45
সাইফকে হাসপাতালে ভর্তি করার সময় তৈমুরও সঙ্গে ছিল। সাইফ বলেন, 'আমি একা যেতে চাইনি। তাই তৈমুরকে সঙ্গে নিয়েছিলাম। যদি আমার কিছু হয়ে যায়, তাহলে ছেলে আমার পাশে থাকুক, এটাই চেয়েছিলাম।' তিনজনেই অটোতে করে হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
55
মামলার অগ্রগতি
সাইফ হামলা মামলায় অগ্রগতি হচ্ছে। পুলিশ সাক্ষীদের চিহ্নিতকরণ পরিচালনা করেছে। বর্তমানে আটক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে সাইফের বাড়ির কর্মচারীরা চিহ্নিত করেছেন।