"মাদক নেওয়ার জন্য রিহ্যাবে ছিলেন এষা দেওল"! নীজের আত্মজীবনী তে মেয়েকে নিয়ে এ কী লিখলেন হেমা মালিনী?
ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিলীর কন্য এষা দেওল। মায়ের সঙ্গে আগাগোড়া তুলনা করা হয়েছে তাঁর। বলিউডে পা দেওয়ার প্রথম ছবিই ব্যর্থ হয়ে যায় তাঁর। এরপর পরের পর ফ্লপ ছবিতে নাম লেখান এষা। তারপরেই নাকি একেবারে মাদকে ডুবে থাকতে ন অভিনেত্রী। এমনই ছড়িয়ে পড়েছিল বলি জগতের অন্দরে। সম্প্রতি নিজের লেখা বই ‘বিওন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ নামের আত্মজীবনীতে এই প্রসঙ্গটি তুলে ধরেন হেমা মালিনী।
এষার ঝুলিতে ছিল পরের পর ফ্লপ ছবি। কোনও বাবেই নাকি তাঁকে নাইকা সুলভ দেখতে নয় এমনই শুনতে হয়েছে তাঁকে। কথায় কথা উঠে এসেছে মায়ের সঙ্গে তুলনা। তাই একসময় বীভৎস বিষণ্ণতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন এই অভিনেত্রী। তারপরেই গুঞ্জন ওঠে যে তিনি ভীষণ মাদক নিতে শুরু করেছেন। এমনকী তাঁকে নাকি রিহ্যাব-এও পাঠাতে হয়েছিল। ব্যাস তারপরেই নিজের মা হেমা মালিনীকে এই কথা ভুয়ো প্রমাণ করতে রক্ত পরীক্ষা পর্যন্ত করান এষা।
হেমা তাঁর লেখা আত্মজীবনীনিতে বলেছেন, এষাকে নিয়ে রটানো এই কথা সম্পূর্ণ ভুয়ো। কোনও অনুষ্ঠান বা পার্টিতে অল্প বিস্তর মাদক সেবন করলেও কোনও মতেই মাদকে ডুবে থাকতেন না এষা। বরং এই রটানো কথার জন্য মানসিক ভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন এষা দেওল। মাকে বিশ্বাস করাতে রক্ত পরীক্ষা পর্যন্ত করিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত ২০০২ সালে ‘কোয়ি মেরে দিল সে পুছে’ ছবির মাধ্যমে বলি জগতে পা রাখেন এষা। সঞ্জয় কাপুর ও আফতাব শিবদাশানির সঙ্গে একই পর্দায় দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু জীবনের প্রথম ছবি বক্স অফিসে হিট করেনি তাঁর। এরপর একের পর এক ফ্লপ ছবিতে দেখা গিয়েছে নায়িকাকে।