
৮ অক্টোবর সকালে মোহালির ফোর্টিস হাসপাতালে প্রয়াত হন পাঞ্জাবি গায়ক রাজবীর জাওয়ান্দা। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৫ বছর। সোলান জেলার বাদ্দির কাছে সিমলা যাওয়ার পথে রাজবীরের দুর্ঘটনা ঘটে, যার কারণে তাঁর মাথা ও শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট লাগে। গত ১১ দিন ধরে তিনি জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিলেন। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুতে গোটা বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কবে হবে রাজবীর জাওয়ান্দার শেষকৃত্য?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মোহালির ফেজ-৬ সিভিল হাসপাতালে রাজবীরের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এরপর তাঁর মরদেহ লুধিয়ানার জাগরাওঁ-তে অবস্থিত পৈতৃক গ্রাম পৌনাতে নিয়ে যাওয়া হবে। গায়ক অ্যামি ভির্ক জানিয়েছেন যে, রাজবীর জাওয়ান্দার শেষকৃত্য পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার জাগরাওঁ-এর পৌনা গ্রামে বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় সম্পন্ন হবে।
মোটরসাইকেল ট্রিপ
রাজবীর জাওয়ান্দার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন যে, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ১৩০০ সিসির হাই-পাওয়ার মোটরসাইকেলে ট্রিপে যেতে বারণ করেছিলেন। এই ট্রিপই তাঁর মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, যা তাঁর প্রাণ কেড়ে নেয়। এমনকি রাজবীর তাঁর স্ত্রীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে তিনি শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। রাজবীর তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে গেছেন।
কে ছিলেন রাজবীর জাওয়ান্দা
রাজবীর জাওয়ান্দার জন্ম ১৯৯০ সালে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার জাগরাওঁ তহসিলের একটি শিখ জাট পরিবারে। রাজবীরের বাবা করম সিং পাঞ্জাব পুলিশের একজন আধিকারিক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর গানের খুব শখ ছিল। যদিও তিনি কিছুকাল পাঞ্জাব পুলিশে চাকরি করেছেন, কিন্তু পরে চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি গানে মনোনিবেশ করেন। তিনি 'জোর', 'সোহনি', 'রব করকে', 'তু দিসদা প্যায়ন্দা', 'মোরনি', 'ধিয়াঁ', 'খুশ রহ কর', 'যোগিয়া' ইত্যাদি অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন।